রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে গণ-অনশন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০১:৫৬ এএম

চট্টগ্রাম বন্দর  ইজারার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে গণ-অনশন

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও লালদিয়ার চর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় স্কপ নেতারা এনসিটি ও লালদিয়ার চর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 
গণ-অনশন কর্মসূচিতে স্কপের কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এবং আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এনসিটি বর্তমানে সবচেয়ে সফল কনটেইনার টার্মিনাল। একে বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও আত্মঘাতী। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি তপন দত্ত বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে নেওয়া এই একতরফা সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বহাল রেখেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের কৌশলগত সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এই চক্রান্ত জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।’
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সরকারকে অবশ্যই এনসিটি ও লালদিয়ার চর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামে হরতাল ও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দর অচল করে দেওয়া হবে।’
কর্মসূচির সভাপতির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের সম্পদ রক্ষা করা, বিক্রি বা ইজারা দেওয়া নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
তিনি বন্দর শ্রমিকদের হয়রানি ও অযৌক্তিক কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টারও তীব্র নিন্দা জানান।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের খোরশেদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মছিউদ্দৌলা, স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক রিজোয়ানুর রহমান খান, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নুরুল আবসার তৌহিদ, জাহেদ উদ্দিন শাহিন, শানেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ইফতেখার কামাল খান ও টিইউসির কেন্দ্রীয় সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!