সরকারি জমি দখল করে চলছে মার্কেট নির্মাণ

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাগুড়ী মহিলা কলেজ সংলগ্ন নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন খাসজমি দখল করে বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভাটা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগুড়ি মৌজার মেইন রোড সংলগ্ন জেলা পরিষদের প্রায় ৪০ শতক জমি রয়েছে (খতিয়ান নং-১, দাগ নং-৩২ ও এসএ নং-৩)। দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি অল্প অল্প করে দখল হয়ে যাচ্ছে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিষদের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আশপাশের পাঁচজন ব্যক্তি ইতিমধ্যে প্রায় ৩৬.৫ শতক জমি দখল করে নিয়েছেন। সম্প্রতি বাকি সাড়ে তিন শতক জমিও দখল করে বহুতল মার্কেট নির্মাণে হাত দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা পরিষদের জমিতে ইতিমধ্যে ৩৬টি পিলার স্থাপন করে দ্রুতগতিতে ইট গাঁথার কাজ চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহিদুল ইসলাম এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলতে সাহস পান না। তাদের ধারণা, তিনি জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদেরও ম্যানেজ করেছেন। এর আগে যারা জমি দখল করেছে, তারাও একইভাবে প্রভাব খাটিয়ে তা বৈধ করার চেষ্টা করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
আজিজুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক মানবাধিকারকর্মী জানান, এই জায়গাটা জেলা পরিষদের খাস সম্পত্তি। আমরা নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে আস্তে আস্তে জমি দখল হচ্ছে। এখন আবার বাকি অংশও দখল হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ দেখছি না।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো সরকারি জমি দখল করিনি। আপনি চাইলে এসে কাগজপত্র দেখে যান।
তবে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এম এ মঞ্জু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমি দখলের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। কিন্তু তারা তা না মেনে বরং আরও বেশি শ্রমিক লাগিয়ে দ্রুত কাজ চালাচ্ছে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি, সরকারি এ জমি উদ্ধারে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।