ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বসতঘর থেকে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতরা হলেনÑ রতন মিয়া (৩৫) ও তার শিশুকন্যা নুরিয়া খাতুন (৭)।
রতন নালিতাবাড়ি খিশাকুড়ি বাঘবেড় গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত রতনের স্ত্রী জুলেখা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত রতনের শ^শুর দুলাল মিয়া ও শাশুড়িকে থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত রতন মিয়ার স্ত্রী জুলেখা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে দুবাই প্রবাসী ছিলেন। আর রতন মিয়া ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার রাত ৩টার দিকে ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে তার শ^শুর ও শাশুড়ি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে রতন ও তার মেয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়। পাশাপাশি জুলেখাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি হত্যাকা- নাকি পারিবারিক বিরোধে মারামারির একপর্যায়ে নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেনÑ তার তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন