৪ হাজার ল্যাট্রিন প্রকল্প বাতিল

• কাজ বাতিলে ক্ষুব্ধ ৮৮ উদ্যোক্তা
• কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা
• ক্ষতির সম্মুখীন উপকারভোগীরাও

লক্ষ্মীপুরে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বিনা মূল্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে নির্মাণাধীন ৪ হাজার টুইন পিট ল্যাট্রিনের কাজ বাতিল করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তবিবুর রহমান তালুকদার। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৮৮ জন উদ্যোক্তা, যারা এখন কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

উদ্যোক্তাদের দাবি, ল্যাট্রিন নির্মাণের জন্য সব মালামাল প্রস্তুত করা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কাজ বাতিলের নির্দেশে তারা বিপাকে পড়েছেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও কাজ শেষ করার আগেই এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

সালামুতুল্লাহ মো. সেলিম, আবুল হোসেন, ইউনুস মিয়া, ইমরান হোসেন রাশেদ, তানভীর হোসেন, জামাল হোসেন, জুয়েল মাহমুদ, আরাফাত হোসেন, বাহার উদ্দিন রুবেল, ইরান পাটোয়ারীসহ অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তা জানান, কাজ বন্ধে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হবে এবং উপকারভোগীরাও বঞ্চিত হবেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্প’-এর আওতায় জেলার হতদরিদ্র পরিবারে ৯ হাজার ৩৮৯টি টুইন পিট ল্যাট্রিন নির্মাণের কাজ চলছিল। তবে ১০ নভেম্বর পিডি তবিবুর রহমান তালুকদার এক চিঠিতে ৪ হাজার ল্যাট্রিনের বরাদ্দ বাতিল করেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘১৫ নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে প্রতীয়মান হওয়ায় ৪ হাজার টুইন পিট ল্যাট্রিনের বরাদ্দ বাতিল করা হলো।’

উদ্যোক্তারা জানান, প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত অ্যাপে উপকারভোগীদের নাম অক্টোবর মাসে এসেছে, কিন্তু অ্যাপের ত্রুটির কারণে কাজের অগ্রগতি আপলোড করা যায়নি, ফলে বিলও আটকে গেছে।

উদ্যোক্তা ইউনুস মিয়া বলেন, ‘১৮৯টি ল্যাট্রিনের কাজ পেয়েছি। এর মধ্যে ৮০টির মালামাল সাইটে চলে গেছে। হঠাৎ কাজ বাতিলের খবর পেয়ে আমরা হতবাক। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিলে শতভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব।’

লক্ষ্মীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘শেষ পর্যায়ে বরাদ্দ পাওয়ায় কিছু সমস্যা হয়েছে। আমরা প্রকল্প পরিচালককে জানিয়েছি এবং কাজ চালু রাখার বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক তবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘ল্যাট্রিন প্রকল্প নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত জানতে নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলুন।’