সুদানের আল-ফাশির শহর থেকে পালিয়ে আসা নারীরা হত্যাকা-, পরিকল্পিত ধর্ষণ এবং তাদের সন্তানদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস আল-ফাশির শহর দখল করার পর তারা দারফুর অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। শহর থেকে পালিয়ে আসা মানুষ জানিয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের রাস্তায় গুলি করা হচ্ছে এবং ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। আল-ফাশির থেকে পালিয়ে আসা নারীরা বলেছেন, তারা হত্যাকা-, ধর্ষণ এবং সন্তান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। জাতিসংঘের নারী সংস্থার পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আন্না মুতাভাতি জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, যৌন সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ধর্ষণকে ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগতভাবে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ আন্না বলেন, ‘সুদানে নারীর দেহ এখন অপরাধস্থল। নিরাপদ আশ্রয় কোথাও নেইÑ নারীরা কোথাও একত্র হতে পারেন না, সুরক্ষা বা প্রাথমিক মানসিক সহায়তাও পাচ্ছেন না।’ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ নারী ও কিশোরী এখন দুর্ভিক্ষে ভোগা দারফুর অঞ্চলে তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, খাদ্যের সন্ধানে বেরোতেও তারা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন