শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

মাধ্যমিকে ভর্তি নীতিমালা

প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ ভর্তি ৫৫ শিক্ষার্থী

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

প্রতি শাখায় সর্বোচ্চ  ভর্তি ৫৫ শিক্ষার্থী

প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে প্রতিটি শাখায় সর্বোচ্চ ৫৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। আর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম দিতে পারবেন। ডবলশিফট বিদ্যালয়ের উভয় শিফটে আবেদন করলে তা দুটি পছন্দ হিসেবে গণ্য হবে। শিক্ষার্থীকে পছন্দ করা বিদ্যালয়গুলোর মধ্য থেকে একটি বিদ্যালয় চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করতে হবে।  এ ছাড়া এ বছরও মোট ৬৩ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ভর্তি নীতিমালা-২০২৫ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীন।

নীতিমালায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য বয়স নির্ধারণে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভর্তির সময় শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। তবে শিক্ষাবর্ষ ১ জানুয়ারি শুরু হওয়ায় বয়সসীমা ধরা হয়েছে সর্বনি¤œ ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭ বছর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য শিক্ষার্থীর জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ১ ডিসেম্বর ২০১৮-এর মধ্যে হতে হবে। বয়স যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর বয়সের ছাড় পাবেন। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতেও বয়স নির্ধারণ প্রথম শ্রেণির ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে।

নীতিমালায় ভর্তির ক্ষেত্রে অপেক্ষমাণ তালিকা করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিভিত্তিকভাবে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে। প্রয়োজন হলে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকাও তৈরি করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নাম সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হবে। কোনো অবস্থাতেই তালিকার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা যাবে না।

ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আগের মতো তিনটি গ্রুপে থাকবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবে। ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা এবারও বহাল রাখা হয়েছে। ভর্তির ক্ষেত্রে কোটায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে নীতিমালায়। বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২ শতাংশ এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ কোটা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য মোট ১ শতাংশ কোটা এবার দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ০.৫ এবং অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ০.৫ শতাংশ।

যমজ ও সহোদর কোটায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। যমজ কোটা ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। সহোদর কোটা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। উভয় কোটা সর্বোচ্চ এক দম্পতির তিন সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে সাধারণ কোটা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আসনেও কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!