আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার ম্যাচের চতুর্থ দিন লাঞ্চের পর জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকেরা। এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগামী ১৯ নভেম্বর মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সিলেটের উইকেটের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পিনিং উইকেট চাই না। স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চাই না। এখানে (সিলেটে) চার দিনেই উইকেট দারুণ ছিল।’ শান্তর কথায় স্পষ্ট, সামনের টেস্টে মিরপুরেও সিলেটের মতো ভালো উইকেটে খেলতে চান তারা।
আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা অসাধারণ নৈপুণ্য দেখান। ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকেরা। উদ্বোধনী জুটিতে ২৪৮ বলে ১৬৮ রান যোগ করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। তাতে ১৯৭ দিন পর টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল ও সাদমানের প্রশংসা ঝরেছে শান্তর কণ্ঠেও, ‘উদ্বোধনী জুটি দারুণ হয়েছে। আশা করি, এই ছন্দ ধরে রাখবে তারা।’ অন্যদিকে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে যে দুটি টি-টোয়েন্টি হাসান মুরাদ খেলেছেন, সেই ম্যাচগুলো ছিল এশিয়ান গেমসের। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে অভিষেক হয়েছে মুরাদের। দুই ইনিংস মিলে সিলেট টেস্টে ৬ উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের এই তরুণ বাঁহাতি স্পিনার পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। তিনি বলেন, ‘মুরাদ যথেষ্ট সুযোগ পায়নি। অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ খেলেছে। সে কতটা দারুণ বোলার, তা তার পারফরম্যান্সে দেখিয়েছে।’
এদিকে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয়ের পরও আক্ষেপ করলেন মাহমুদুল হাসান জয়। এই তরুণ ওপেনার প্রথম টেস্টে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার জিতেছেন। মাহমুদুল খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংসও। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে বেশ রঙিন করেই রাখলেন তিনি। ২৮৬ বলের ইনিংসে ১৪ চার ও ৪ ছক্কার সাহায্যে ১৭১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এত অর্জনের পরও হতাশ মাহমুদুল বলেন, ‘ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারায় একটু হতাশ লাগছে, তবে শেষ পর্যন্ত ভালোই খেলেছি। সব মিলিয়ে খুশি। মুশফিক ভাইয়ের ১০০তম টেস্ট নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল, নিজের পরিকল্পনা সহজ রাখারই চেষ্টা করেছি।’ মাহমুদুল সবশেষ টেস্ট ফিফটি করেছিলেন দুই বছর আগে। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে দল থেকেও বাদ পড়েছিলেন। তবে ঘরোয়া লিগে দারুণ পারফরম্যান্সের কল্যাণে আবারও জাতীয় দলে ফেরেন। জয়ের ১৭১ রানের ব্যাটিংটি অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিনিও মাহমুদুলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন