সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। গতকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারায় আইরিশদের। এই বড় জয়ের ম্যাচে সব আলো কেড়ে নিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ফিল্ডিংয়ে বিশ^ রেকর্ড গড়েছেন এই তরুণ ওপেনার। তানজিদ একাই পাঁচ-পাঁচটি ক্যাচ নিয়েছেন। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে এত বেশি ক্যাচ ধরার প্রথম রেকর্ড এটি। এই বিশ^ রেকর্ড গড়ার দিন চট্টগ্রামের ব্যাট হাতেও রুদ্ররূপ ধারণ করেন তানজিদ ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে বড় জয় এনে দিলেন এই ওপেনার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ৫ উইকেট পর্যন্ত কোনো ক্যাচ হাতে জমেনি তানজিদের। এরপর একে একে উঠল ক্যাচ, সবগুলোই গেল তানজিদের হাতে। তাতে বিশ^ রেকর্ডে নাম উঠালেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫টি করে ক্যাচ নেওয়ার নজির ছিল আর দুটি। মালদ্বীপের ওয়াদেগে মালিন্দা কাতারের বিপক্ষে ২০২৩ সালে নেন ৫ ক্যাচ। চলতি বছর সুইডেনের সেদিক সাহাক আইল অফ ম্যানের বিপক্ষে নেন ৫ ক্যাচ। তাদের সঙ্গে এখনো এই রেকর্ডে নাম উঠল তানজিদের। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তানজিদ নেন দুই ক্যাচ। রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে নেন একটি করে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোচ ফিল্ডারের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড ছিল ৩টি। সেটাও করেছিলেন ১১ জন। এদিন তানজিদের কোনো ক্যাচই অবশ্য খুব কঠিন কিছু ছিল না। রুটিন ক্যাচগুলো মুঠোয় জমিয়ে নিজের কাজটা করতে পেরেছেন তিনি। একজনের হাতে পাঁচটা ক্যাচ যাওয়া ভাগ্যেরও ব্যাপার। সেটাই পক্ষে গেছে তার।
ম্যাচশেষে তানজিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সিরিজ জিতেছি এবং আমি পাঁচটি ক্যাচ নিতে পেরেছি। এটা দারুণ ব্যাপার ছিল। আমি ও আমার সতীর্থরা এটি উদযাপন করেছি। আমরা যখন প্রথম ইনিংসের ইতি টানি, সবাই এ বিষয়টি নিয়েই কথা বলছিল। এ জন্য আমি খুবই খুশি।’ তানজিদ আরও বলেন, ‘ব্যাটিংয়েও আমি চেষ্টা করেছি। যখন সাইফ হাসান ও আমি দারুণ শুরু করেছিলাম, পরে পারভেজ ইমন এলো। উদযাপনের ব্যাপারটিতে আমি কৃতিত্ব দেব আমাদের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল ভাইকে। গত রাতে সে আমাকে টিকিটের জন্য ডেকেছিল। আমি তাকে বলেছিলাম। এটা তোমার জন্য উপহার। তারপর উনি বললেন, পরবর্তী ম্যাচে যখন খেলবে, তখন ৫০ করবে। আমি ব্যাট হাতে আমি তাকে দেখিয়েছি।’
এদিকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গত দুই ম্যাচে আমি দ্রুতগতিতে বল করছিলাম। কিন্তু ভালো করতে পারিনি। এরপর ভালো হয়েছে।’ অপরদিকে, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ ও বিপিএলের জন্য আয়ারল্যান্ড সিরিজ জিতে ভালো প্রস্তুতিই নিয়েছেন তারা। দর্শকদের সব সময় সাপোর্ট আহ্বান করেছেন লিটন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন