মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদের বুড়ি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৪:৫৪ এএম

দিনেও চোখে দেখে পেঁচা

চাঁদের বুড়ি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৪:৫৪ এএম

দিনেও চোখে দেখে পেঁচা

জানো কী? আমাদের আশপাশে এমন অনেক কথা ছড়িয়ে আছে, যেগুলোর ভিত্তি মূলত গল্প, কুসংস্কার ও ভুল ধারণা। এগুলোর কিছু আবার এতোই প্রচলিত যে অনেকেই সেগুলো সত্যি বলে ধরে নেয়। তেমনই একটি ভুল ধারণা হলো পেঁচা রাতে দেখতে পায় না! বহু মানুষ ভাবেন, রাত নামলে পেঁচা দিক চিনতে পারে না বা উড়তে সমস্যা হয়। কিন্তু বিজ্ঞান স্পষ্টভাবেই বলে, বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো। আসল সত্য হলো, পেঁচা রাতে শুধু দেখতে পায়ই না, বরং অসাধারণভাবে দেখতে পারে। এই ক্ষমতাই তাকে অন্য প্রাণীদের তুলনায় দক্ষ শিকারি করে তুলেছে। পেঁচা মূলত নিশাচর পাখি। অর্থাৎ এরা দিনের চেয়ে রাতেই বেশি সক্রিয় থাকে। দিনের আলো কমে গেলে এবং চারপাশ অন্ধকারে ঢেকে গেলে মানুষের মতো অনেক প্রাণীর দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। কিন্তু এই সময়টাই পেঁচার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক।

কারণ তার শরীর এবং বিশেষ করে তার চোখ প্রকৃতি এমনভাবে গড়ে দিয়েছে যে অল্প আলোতেও সে পরিবেশকে খুব পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে। পেঁচার চোখ আমাদের মতো গোল নয়, বরং লম্বাটে ও নলাকার। এই নলাকার গঠন তাদের চোখে আলো প্রবেশের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে দূর থেকে ক্ষুদ্রতম নড়াচড়াও তারা সহজে ধরতে পারে। যখন অন্ধকারে অন্য প্রাণীরা প্রায় অন্ধের মতো হয়ে পড়ে, তখন পেঁচা খুব আরামে শিকার খুঁজে বেড়ায়। মানুষের চোখে রড ও কোণ সেল থাকে। রড সেল আলো বোঝে আর কোণ সেল রং বোঝে। মানুষের চেয়ে পেঁচার চোখে রড সেলের সংখ্যা অনেক বেশি, যা তাদের কম আলোতেও স্পষ্ট দেখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে আছে ট্যাপেটাম লুকিডাম নামের বিশেষ প্রতিফলক স্তর।

চোখে আলো পড়লে তা প্রথমে রড সেলে লাগে, তারপর ট্যাপেটামে প্রতিফলিত হয়ে আবার রড সেলের দিকে ফিরে আসে। এই দ্বিগুণ আলোর প্রতিফলনের কারণে পেঁচা অন্ধকারেও এমনভাবে দেখতে পায় যেন সেখানে আরও বেশি আলো আছে। এজন্য তাদের রাতের দৃষ্টি শক্তি অত্যন্ত ভালো।  তবে শুধু চোখই নয়, পেঁচার শ্রবণশক্তিও তাকে অসাধারণ শিকারি করে তোলে। তাদের দুই কান মুখের দুই পাশে থাকে, কিন্তু সমানভাবে নয়। এ অসম অবস্থানের কারণে তারা শব্দের দিক এবং উচ্চতার সূক্ষ্ম পার্থক্য খুব দ্রুত বুঝতে পারে।

কোনো ছোট প্রাণী পাতা নড়ালে বা মৃদু শব্দ করলেও তা দূর থেকে লক্ষ্য করতে সক্ষম। প্রকৃতি তাকে এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে সে অন্য প্রাণীর অদৃশ্য জগতকেও সহজে দেখতে ও শুনতে পারে। তাই মনে রেখ, রূপকথা ও প্রচলিত কথার সবকিছু সত্যি নয়। বিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকলে ভুল ধারণা আমাদের মাঝে টিকে থাকে। তাই ভুল ভাঙা আর সত্য জানা, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। পেঁচা রাতে দেখতে পায় না এ ধরনের ধারণা ভুলে গিয়ে মনে রেখ, পেঁচার রাতই আলো, আর অন্ধকারই শক্তি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!