গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বংশাই নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে ছয় গ্রামের মানুষ। বর্ষায় ভারি বৃষ্টি বা নদীর পানি বাড়লেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এতে অসুস্থ রোগী পরিবহন, স্কুল শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় স্থানীদের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার দক্ষিণ হিজলতলী এলাকার বংশাই নদীর ওপর কোনো স্থায়ী সেতু না থাকায়, হাজার হাজার মানুষ নির্ভর করছে একটি অস্থায়ী ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর ওপর। এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় স্কুলের শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও কর্মজীবী মানুষকে। ভারি বৃষ্টি বা নদীর পানি বাড়লেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রোগী নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে পার করা যায় না। তিন কিলোমিটার ঘুরে নিয়ে যেতে হয়। কয়েক বছর আগে সরকারি দুই লাখ টাকা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঢালাই করা খুঁটিগুলো নদীর পানির স্রোতে ভেঙে যায়। এরপর আর কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
স্থানীয়রা বলেন, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। একটু ভুল হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। স্থানীয়দের চাঁদায় প্রতিবছর নতুন করে বানানো হচ্ছে এই বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়ে বামন্দ, নয়ানগর, খালপাড়, মাঝিপাড়া, কাঞ্চনপুর এলাকায় প্রতিদিন চলাচল করছে সাত থেকে আট হাজার মানুষ। দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগ কবে শেষ হবে। সেই অপেক্ষাতেই এখনকার হাজারো মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ।
স্থানীয় মোকলেছুর রহমান, অখিল চন্দ্র রাজবংশী, দিপা রানীসহ অনেকেই বলেন, সবাই মিলে চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছি। উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা করছেন না। স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম ফখরুল হোসাইন বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। খুব তাড়াতাড়ি দক্ষিণ হিজলতলী এলাকায় বংশাই নদী ওপর একটি ব্রিজের প্রস্তাব পাঠানো হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন