ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) না থাকায় এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ডিডিওশিপ না দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩০ জনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণির ১২ জন ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৩২ জন কর্মকর্তা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৬ জন কর্মচারী। তারা গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের কোনো ধরনের বেতন-ভাতা তুলতে পারেননি। এতে করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম অর্থ সংকটে ভুগছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) বদলির পর থেকে গত দুই মাস ধরে আমাদের সবার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এতে করে আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সংসার চালাতে এখন ধারদেনা করতে হচ্ছে। কবে এর সমাধান হবে তাও বলা যাচ্ছে না। তাই আমাদের দাবি; দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন এখানে ইউএইচএফপিও পদায়ণ করে এ সমস্যা দূর করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মহসীন খান বলেন, আমি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছি। তবে আমাকে ডিডিওশিপ না দেওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতা তুলতে পারছেন না। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি এ সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মু. মনিরুল ইসলাম বলেন, লালমোহনে ইউএইচএফপিও পদায়ন না করায় এ সম্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এ সপ্তাহের মধ্যে সেখানে ইউএইচএফপিও পদায়ন করা না হলে আমিই ডিডিওশিপ এনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করব।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন