থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আঞ্চলিক অখ-তা বজায় রাখতে থাইল্যান্ড আন্তর্জাতিক আইন ও বৈধ আত্মরক্ষার অধিকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি দাবি করেন, থাইল্যান্ড কোনো ধরনের আগ্রাসন শুরু করেনি বা চালায়নি। তবে সতর্ক করে বলেন, থাইল্যান্ড তার সার্বভৌমত্বের কোনো লঙ্ঘন সহ্য করবে না এবং জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন সীমান্ত এলাকা থেকে ব্যাপক হারে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সব সরকারি সংস্থাকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের বাসস্থান, খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সোমবার ভোরে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এ সময় থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সীমান্ত সংঘর্ষে কম্বোডিয়ার চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
নমপেন থেকে এএফপি এ খবর জানায়। তথ্যমন্ত্রী নেথ ফিয়াকত্রা বলেন, ‘থাইল্যান্ডের হামলায় কম্বোডিয়ার অন্তত চারজন নাগরিক নিহত হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ওদ্দার মিআনচে ও প্রেয়াহ বিহার সীমান্ত প্রদেশে এ হামলা চালানো হয়। এতে আরও ১০ বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সংঘর্ষের ফলে নতুন করে উভয় দেশেই নতুন করে বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে। থাইল্যান্ডের সেকেন্ড আর্মি রিজিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার ওদ্দার মিয়ানচে প্রাদেশিক প্রশাসনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী বেশ কিছু গ্রামবাসী নিরাপদে সরে যাচ্ছেন। সংঘর্ষের কারণে কম্বোডিয়ান প্রদেশেও স্কুল স্থগিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন