বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:৩৭ এএম

‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০২:৩৭ এএম

‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’

মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ধরনের ঘর তৈরির কারিগর ধ্বজো মেস্তরীর জীবনের করুণ গল্প নিয়ে মণিপুরি থিয়েটারের নাটক ‘ধ্বজো মেস্তরীর মরণ’। প্রায় বিশ বছর আগে (২০০৫ সালে) মঞ্চে এসেছিল নাটকটি। বেশ কয়েকটি শোয়ের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

এবার নানান পরিমার্জন-সংযোজনের মধ্য দিয়ে নতুন অবয়বে নাটকটি আবার মঞ্চে আনছে দলটি। কাজ করছেন পুরোনোদের সঙ্গে একঝাঁক নতুন অভিনয়শিল্পী।

নির্দেশক শুভাশিস সিনহা জানান, আগামী ১১-১৩ ডিসেম্বর কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা গ্রামে মণিপুরি থিয়েটারের ‘নটম-পে’ নাটকটির ৫টি প্রদর্শনী হবে। ১১ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, ১২ তারিখ বিকেল সাড়ে ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং ১৩ তারিখ বিকেল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাটকটির মোট পাঁচটি প্রদর্শনী হবে, দর্শনীর বিনিময়ে।

স্মৃতিকুমার সিংহের গল্প অবলম্বনে নাটকটির নির্দেশনার সঙ্গে নাট্যরূপও দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষার সংমিশ্রিত এ নাটকে কথক বা সূত্রধারের ভূমিকায় আছেন জ্যোতি সিনহা, তরুণ ও বৃদ্ধ ধ্বজোর ভূমিকায় যথাক্রমে সমরজিৎ সিংহ ও বিধান সিংহ। আরও আছেন স্বর্ণালী সিনহা, শিউলি সিনহা, সুবর্ণা সিনহা, রাজকান্ত সিংহ, দীপ্ত সিংহ, রুহিত সিংহ, সীমান্ত সিংহ, অনন্যা সিনহা, স্বর্ণালী শর্মা প্রমুখ।

সংগীতে শর্মিলা সিনহা, বাদ্যে রনি সিংহ ও অঞ্জনা সিনহা। আলোক পরিকল্পনায় আসলাম অরণ্য। পোস্টার করেছেন সজলকান্তি সিংহ। ব্যবস্থাপনায় আপন সিংহ ও দেবজিৎ সিংহ।

নির্দেশকের বয়ানে নাটকটির গল্প এমন, মণিপুরি পাড়ার নামকরা মিস্ত্রি ধ্বজোর হাতের গড়া ঘরগুলো যখন কালের আবর্তে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তখন তার হাতের মিস্ত্রিবিদ্যার একমাত্র চিহ্ন হয়ে ছিল তার নিজের বাড়িটি। আধুনিকতার হাতছানিতে তার ছেলেরাই একদিন নতুন দালান তৈরির জন্য তাও ভেঙে ফেলে।

ধ্বজোর সকল কর্ম, ঘরটিকে নিয়ে তার সকল স্মৃতি লুপ্ত হয়ে গেল। এর মধ্যদিয়ে যেন প্রান্তিক ইতিহাসের গৃহনির্মাণবিদ্যার এক অধ্যায়েরও শেষ হয়ে গেল। পাড়ার লোকজন যখন কৃত্যমতে পুরোনো সেই বাড়ির ভগ্নাবশেষ নিয়ে দূরে ফেলে দিতে যায়, ধ্বজো দ্যাখে- যেন ওরা তারই লাশ বহন করে চলেছে।

নাটকটির আয়োজনটিকে কেন্দ্র করে মণিপুরি পাড়ায় উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকটি প্রদর্শিত হয়ে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!