রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০১:২৬ এএম

সিরিয়া-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০১:২৬ এএম

সিরিয়া-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত

সিরিয়ায় আবারও প্রাণঘাতী গোষ্ঠীগত সহিংসতার ঢেউ শুরু হয়েছে, যা দেশটির ভঙ্গুর নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। এমন একসময়ে এসব সংঘাত ঘটছে, যখন নতুন সরকার বিভক্ত দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। গত রোববার দ্রুজ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দক্ষিণ সিরিয়ায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এটি এখনো চলছে। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার ইসরায়েল সিরিয়ায় হামলা চালায়। যদিও আগে থেকেই তারা দেশটিতে মাঝেমধ্যে হামলা চালিয়ে আসছিল।

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে ও সিরিয়ার সরকারপন্থি বাহিনীকে দমন করতে এ হামলা চালিয়েছে। সগত মার্চে সিরিয়ার উপকূলীয় প্রদেশগুলোতেও ভয়াবহ সংঘাত হয়। সেই সংঘাতে শত শত আলাউতি সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হয়। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এ সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। অভিযোগ উঠেছে, সিরিয়ার সরকারপন্থি বাহিনীগুলো দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা প্রদেশে দ্রুজদের ওপর হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, গত রোববার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে শুধু সুয়েইদাতেই গত শনিবার পর্যন্ত অন্তত ৭১৮ জন নিহত হয়েছে। গত মার্চে সিরিয়ার উপকূলীয় প্রদেশগুলোতেও ভয়াবহ সংঘাত হয়। সেই সংঘাতে শত শত আলাউতি সম্প্রদায়ের মানুষ নিহত হয়। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এ সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও সুয়েইদা ও দামেস্কে ইসরায়েলের উসকানিমূলক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

অবশেষে সিরিয়া ও ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে এক্সে এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেছে এবং তুরস্ক, জর্ডানসহ সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলো একে স্বাগত জানিয়েছে। বুধবার ইসরায়েল রাজধানী দামেস্কে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবং সুয়েইদা অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর ওপর বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। এতে অন্তত তিনজন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হন। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ায় চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীকে সুয়েইদা জেলায় সীমিতভাবে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এর আগে বুধবার সিরিয়ার সরকার ও দ্রুজ নেতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও আরব দেশগুলোর মধ্যস্থতায় একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু চুক্তির দিনই ইসরায়েল হামলা চালায়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে প্রায় এক সপ্তাহের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৮ জনে। দেশটির দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্রে চলমান এই সংঘর্ষে হতাহতের নতুন এ হিসাব জানিয়েছে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত রোববার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৪৬ জন দ্রুজ  যোদ্ধা ও ২৪৫ জন বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ১৬৫ জনকে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন বলে দাবি সংস্থাটির। এ ছাড়া, সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর ২৮৭ সদস্য ও ১৮ জন বেদুইন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি দ্রুজ  যোদ্ধাদের হাতে আরও তিন বেদুইন নিহত হয়েছেন বলে জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি। এদিকে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় সরকারি বাহিনীর আরও ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ফোনালাপ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।  আল-জাজিরার মতে, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ফোনালাপ করেছেন। এসওএইচআরের প্রতিবেদনে সরকারি বাহিনী দ্রুজদের ‘নির্বিচারে হত্যা’ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ধরনের প্রতিবেদনের কারণে দ্রুজদের অনেকের মধ্যে দামেস্কের কর্তৃপক্ষের প্রতি অবিশ্বাস বেড়েছে। এদিকে বাশারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল নিজেদের উত্তর সীমান্তের কাছে বসবাসকারী দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এটি সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দেশটির মিত্রতা গড়ার দীর্ঘদিনের চেষ্টারই অংশ। ইসরায়েল নিজেকে সিরিয়ার কুর্দি, দ্রুজ ও আলাউতি সংখ্যালঘুদের ত্রাণকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। তাদের সহায়তার অজুহাতে দেশটির সামরিক ঘাঁটিসহ সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে তেল আবিব।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!