ইরানে সাধারণত ভোরবেলায় ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে অভিযুক্তদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। দেশটিতে বেশির ভাগ মৃত্যুদ- কারাগারেই কার্যকর করা হলেও চলতি মাসের শুরুর দিকে কর্তৃপক্ষ এক ব্যক্তিকে জনসমক্ষে ফাঁসি দেয়।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দ-িত হয়েছিলেন। ধর্ষণের এ ঘটনার পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। এবার ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করেছে ইরান। শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় গোরগান শহরে ওই তিন ধর্ষকের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। ইরানের ব্চিার বিভাগের এক বিবৃতিতের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইরানের উত্তরাঞ্চলে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত তিন ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর করা হয়েছে বলে দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে।
স্থানীয় বিচারবিভাগের প্রধান হায়দার আসিয়াবি বলেছেন, আজ সকালে উত্তরাঞ্চলীয় শহর গোরগানের একটি কারাগারে ধর্ষণের দায়ে দ-প্রাপ্ত তিন ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইরানে হত্যা ও ধর্ষণকে মৃত্যুদ-যোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বে চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুদ- কার্যকরকারী দেশ ইরান। হায়দার আসিয়াবি বলেন, তিন সদস্যের একটি চক্রের বিরুদ্ধে তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পরে ওই তিন ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অভিযুক্ত ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :