রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০২:০৯ এএম

সুদানের গণহত্যায় নিশ্চুপ বিশ্ব

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০২:০৯ এএম

সুদানের গণহত্যায় নিশ্চুপ বিশ্ব

একজন বেঁচে ফেরা ব্যক্তি মোহাম্মদ জানান, বেশির ভাগ মানুষ শহর ছাড়ছে। কারণ তারা আরএসএফকে ভয় পায়। আরবরা একদিকে থাকবে, ‘অ-আরবরা’ অন্যদিকে। এখন এটাই বাস্তবতা। মোহাম্মদ একটি স্থায়ী অ-আরব উপজাতির সদস্য যারা ঐতিহাসিকভাবে আরএসএফের সংখ্যাগরিষ্ঠ যাযাবর ‘আরব’ উপজাতিদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন সরকারি বাহিনীর এক সদস্য আবুবকর আহমেদ। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তিনি প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। ৫৫০ দিন ধরে আহমেদ ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স’ নামে স্থানীয় এক প্রতিরক্ষা গোষ্ঠীর হয়ে এল-ফাশার শহর রক্ষায় লড়ছিলেন। কিন্তু ২৬ অক্টোবর শহরটি পতনের পর, সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং রক্তপাত ঠেকাতে সেনাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চুক্তি করে। এতে শহরের প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার সাধারণ মানুষ ভয়ংকর আরএসএফের সামনে একা পড়ে যায়।
এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের মধ্যে অন্যতম। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে এবং প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আফ্রিকার সহকারী মহাসচিব মার্থা আমা আকইয়া পবি জানান, শহরটিতে গণহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও বাড়ি বাড়ি তল্লাশির ঘটনা ঘটছে। বাস্তবে এল-ফাশারে কেউই নিরাপদ নয় এবং সাধারণ নাগরিকদের বেরিয়ে যাওয়ার কোনো নিরাপদ পথ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানান, কেবল একটি হাসপাতালেই ৪৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানায়, আরএসএফ হাসপাতালের ভেতরে থাকা রোগী, স্বজন ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরও হত্যা করেছে। ২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। টানা ১৭ মাস অবরোধের পর সেনাবাহিনীর দখলে থাকা দারফুর অঞ্চলের শেষ ঘাঁটি এল-ফাশারও দখলে নেয় আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ। সুদানের এল-ফাশার শহরের দখল নিয়েছে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। শহরটি দখলে নিতে কয়েকদিনে হত্যা করেছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে। জাতিসংঘ বলছে, এরইমধ্যে শহর ছেড়ে পালিয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। আরএসএফ বাহিনীর কবলে আটকা পড়ে আছে দেড় লাখের বেশি মানুষ। সুদানে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। 
আরএসএফ সম্প্রতি সুদানের উত্তর দারফুরের রাজধানী আল-ফাশের দখল করার পর সেখানে ব্যাপক নৃশংসতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৫০০ দিনেরও বেশি অবরোধের পর এই বিজয়ের পর আরএসএফ যোদ্ধারা বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা, এমনকি হাসপাতালেও নির্বিচারে হত্যার ভিডিও ধারণ করেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!