বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৩৩ এএম

গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৭০ হাজার

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:৩৩ এএম

গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৭০ হাজার

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের বরাতে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার নতুন আরও ৩০১ জনকে নিহতের তালিকায় যোগ করার পর গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ১০০-তে। এদের মধ্যে দুজন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। বাকিদের দেহাবশেষ দীর্ঘ সময় ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল এবং যুদ্ধবিরতিতে উদ্ধার কাজ চলাকালে তাদের শনাক্ত করা হয়। যুদ্ধবিরতিতেও ইসরায়েল গাজায় হামলা ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো মৃতের সংখ্যা নিয়ে আপত্তি তুললেও এ বিষয়ে নিজেদের পরিসংখ্যান জানায়নি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আক্রমণের পর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে ধসেপড়া ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়েছে হাজারো মানুষ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেহাবশেষ উদ্ধারের মতো প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি না থাকায় গাজায় হতাহতের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধের প্রথম দিকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে আসা মরদেহ গণনা করে নাম ও পরিচয় নম্বর নথিভুক্ত করা হতো। এ সময় বহু ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত জানা গেলেও মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত এবং ফরেনসিক, চিকিৎসা ও আইনি যাচাই সম্পন্ন না করা পর্যন্ত তাদের মৃত হিসেবে সরকারের তালিকায় নথিভুক্ত করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রিসেন্টের সহায়তায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হতাহতদের খোঁজে অভিযান শুরু করে গাজার কর্তৃপক্ষ ও স্বজনেরা। ধীরে ধীরে উদ্ধার করা দেহাবশেষগুলোর মধ্যে অসংখ্য মরদেহ দুই বছর পুরনো।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় গত অক্টোবর মাস থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে সেই যুদ্ধবিরতি মানছে না ইসরায়েল। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘাত বন্ধ হওয়ার পর থেকে উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৩৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৯ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। গাজা প্রশাসনের বিবৃতির বরাতে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে গাজা প্রশাসন বলে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা নির্বিচারে ৩৮ জনকে আটক করেছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ৫৯১ বার তা লঙ্ঘন করেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!