থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে টানা কয়েকদিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি আবারও ভেঙে পড়েছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া নতুন সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কম্বোডিয়ায় সাতজন বেসামরিক নাগরিক এবং থাইল্যান্ডে তিনজন সেনা নিহত হয়েছে।
রয়টার্স ও আল-জাজিরা জানায়, রোববার উবোন রাতুচাথানি প্রদেশের ন্যাম ইউয়েন এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে থাইল্যান্ডের এক সেনা নিহত ও আটজন আহত হন। এরপর সোমবার থাই বিমানবাহিনী বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় কম্বোডিয়ান সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পরে কম্বোডিয়াও পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে, যা সংঘাতে আরও প্রাণহানি ঘটায়।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে অন্তত ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে থাই সেনাবাহিনী বলছে, কম্বোডিয়ান বাহিনী সীমান্ত এলাকায় স্নাইপার ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করে হামলা চালাচ্ছে, যা থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের জন্য ‘গুরুতর হুমকি’।
কম্বোডিয়ার সিনেট প্রেসিডেন্ট হুন সেন বলেন, থাই বাহিনী অগ্রসর হওয়ায় পাল্টা আক্রমণ চালানো ছাড়া তাদের কোনো উপায় ছিল না। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকিও দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে কম্বোডিয়া শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত নয়।
সংঘাত বৃদ্ধি পেলে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার সঙ্গে শুল্ক আলোচনা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে উত্তেজনা কমাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জুলাইয়ের যুদ্ধবিরতির পর দুদেশের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। ওই সময় পাঁচ দিনের লড়াইয়ে অন্তত ৪৮ জন নিহত এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন