উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার উপজাতীয় এলাকায় একটি নিরাপত্তা চৌকিতে সশস্ত্র হামলায় ছয় সেনা নিহত হয়েছে। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলা গোলাগুলিতে চারজন নিরাপত্তা সদস্য আহত হন। কাতারভিত্তিক আলজাজিরা ও এএফপি জানায়, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা সূত্র জানায়, আকস্মিক হামলা শুরু হলে চৌকির সেনারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দুই জঙ্গিও লড়াইয়ে নিহত হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে টিটিপির হামলা বাড়ছে। প্রায় দুই দশক ধরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই গোষ্ঠী পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে সরকার।
হামলা এমন সময়ে ঘটল যখন পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ছোটখাটো সংঘর্ষে ডজনখানেক মানুষ নিহত হয়েছে, যা সীমান্ত পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করেছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করে, ২০২১ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর আফগান তালেবান টিটিপিকে আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সমস্যা।’
এদিকে উত্তেজনার বাইরেও সম্পর্ক জটিল করেছে পাকিস্তানের আফগান শরণার্থী বহিষ্কার প্রক্রিয়া। দেশটিতে থাকা লাখ লাখ আফগানকে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম দ্রুততর করা হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কনভয়কে আফগানিস্তানে প্রবেশের অনুমতি দিতে শুরু করবে।
নতুন এই হামলার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

