বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি। মাঝে মধ্যে বাজ পড়ার বিকট শব্দ। আমি মেয়েকে ঘুম পাড়াতে এলাম। খাটের এককোণে গুটিসুটি বসে আমার মেয়েটা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ‘বাবা! আমার খুব ভয় করছে। খাটের নিচে মনে হয় কেউ লুকিয়ে আছে, একটু দেখবে?’
ওর ভয় কাটানোর জন্য আমি হাসিমুখে
মাথা নাড়লাম। বললাম, ‘ধুর পাগলি! ভূত বলে কিছু নেই। দাঁড়াও, আমি এখনই
দেখে দিচ্ছি।’
আমি ধীরে ধীরে মেঝের ওপর হাঁটু গেড়ে বসলাম। উঁকি দিলাম খাটের নিচে। দেখলাম খাটের নিচে আমার মেয়ে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। ভয়ে তার চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেছে। আমার দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে সে বলল, ‘বাবা! আমার খুব ভয় করছে... আমার
খাটের ওপরে কে যেন
বসে আছে!’
আমি একবার খাটের নিচের মেয়ের দিকে তাকালাম, একবার খাটের ওপরের মেয়ের দিকে তাকালাম। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললাম, ‘শোন, তোমরা যেই হও, কালকে দুজনেই স্কুলে যাবে। আর হ্যাঁ, সকালের নাস্তাও দুজন ভাগ করে খাবে। এখন এসব ভূতুড়ে নাটক রেখে ঘুমাবে এসো!’
প্রচলিত গল্পের অনুবাদ

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন