বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আরশি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ১২:২৮ এএম

গুণে ভরা পাকা তাল

আরশি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ১২:২৮ এএম

গুণে ভরা পাকা তাল

বাঙালির খাবারগুলোর মধ্যে তাল অনেকটা জায়গা জুড়ে আছে। সুস্বাদু এই ফলটি কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে খাওয়া যায়। পাকা তাল থেকে রস বের করার পর দীর্ঘদিনের বিরতিতে বীজ মাটিতে রেখে দিয়ে তা থেকে পাওয়া শাঁসও বাঙালিদের কাছে বেশ প্রিয় একটি খাবার। অন্যান্য ফলের মতো পাকা তালও বেশ উপকারী ফল। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায়ও এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। পাকা তালে রয়েছে ভিটামিন এবিসি জিঙ্ক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরির মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।

পুষ্টিগুণ
পাকা তালের রসের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরে ভিটামিন বি’র ঘাটতি পূরণ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ কিংবা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস করুন। যারা প্রায়ই বুক ধড়ফড় করার সমস্যায় ভোগেন, তারা দুধের সঙ্গে চার চামচ তালের রস মিশিয়ে সকালে ও বিকালে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। সপ্তাহে এভাবে তিন দিন খেতে হবে।
বমিভাব দূর করতে পাকা তাল খেতে পারেন। যদি পুরোনো কোনো কাশি কোনোভাবেই আপনার পিছু না ছাড়ে, তবে তাল খেয়ে উপকার পাবেন।

তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে পাকা তাল।

কচি তালের শাঁসে আছে প্রায় ৯৩ শতাংশ জলীয় অংশ। এ ছাড়া এতে আছে জেলাটিন, যা খাওয়ার পর পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি দেয় এবং ক্ষুধাভাব কমিয়ে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

শরীরের কোষের মধ্যে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে কচি তালের শাঁস খুবই উপকারী। বমিভাব বা ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের জন্য এটি বেশ উপকারী একটি খাবার। বাতের ব্যথা দূর করতে তালের রস বেশ উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম তাল কোনো চিনি ও পানি না মিশিয়ে খান তবে আপনার বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে অনেকাংশে উপশম হবে। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ার কারণে তালের রস কৃত্রিম চিনির একটা স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে, যা ডায়াবেটিসের সূত্রপাত প্রতিরোধে সাহায্য করে। খেজুরের গুড় খাওয়ার ফলে রক্তে খুব বেশি মাত্রায় শর্করা বৃদ্ধি পায় না বলে জানা গেছে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের কম মাত্রায় খেজুরের চিনি বা গুড় খাওয়া উচিত। তালের শাঁসে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করবে। তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় তাল ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও তাল বেশ উপকারী।
তালে আছে ভিটামিন-বি, তাই ভিটামিন-বি’র অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে এটি ভূমিকা রাখে।
লিভার সুরক্ষায় তালের শাঁসের ভূমিকা রয়েছে। তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

পাকা তাল যেভাবে খাওয়া যায়
তাল খাওয়ার নানা উপায় আছে। তবে পাকা তালের ক্বাথ জ্বাল দিয়ে ঘন করে খেয়ে থাকেন অনেকে। এর সঙ্গে নারিকেল, দুধ, চিনি, কলা ইত্যাদি মিশিয়ে আরও নানা স্বাদের খাবার তৈরি হয়। এর মধ্যে আছে - 

তালসত্ত্ব : তালের রস ও চিনি দিয়ে বানানো হয় তালসত্ত্ব। এটি রোদে শুকিয়ে সারা বছর খাওয়া যায়। অনেকে ভাত ও দুধের সঙ্গে এই তালসত্ত্ব খেয়ে থাকেন।

তালের জুস : তালের ক্বাথ, দুধ, চিনি দিয়ে জুস বানানো যায়। তাল যেহেতু ভাদ্র মাসে পাকে, সেই সময়ের গরমে এই জুস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

তালের বড়া : তালের ঘন নির্যাসের সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা তৈরি করা হয়। গ্রামগঞ্জে এই পিঠার ঐতিহ্য রয়েছে। তালের পিঠার সুন্দর সুবাস রয়েছে।
তালের কেক : কেকের সব উপকরণের সঙ্গে তালের রস মিশিয়ে কেক বানানো হয়। এর রং খুবই আকর্ষণীয় হয়। তালের কেকের মধ্যে চিনি কম এবং ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগীদের জন্য ভালো খাবার হতে পারে।

তালের সেঁকা পিঠা : চিনি, দুধ, নারিকেল যোগ করে তালের ক্বাথ জ্বাল দিয়ে তার সঙ্গে চালের গুঁড়া বা আটা মিশিয়ে কলাপাতায় খামির রেখে চুলায় সেঁকে নিয়েও খেতে দেখা যায়। এ ছাড়া তালের রুটিও একটি মজাদার নাশতা।

পাকা তালের উপকারিতা
*    তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
*    তাল ভিটামিন বি-এর আধার। তাই ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে।
*  তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।
*    কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভালো ভূমিকা রাখে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!