ঢাকা রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫

বললেন অজিত দোভাল

‘দুর্বল শাসনব্যবস্থাই’ বাংলাদেশ, নেপাল-শ্রীলঙ্কায় সরকার পতনের কারণ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

অদক্ষ ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের মতো কয়েকটি দেশে শাসক পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। 
গত শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সুশাসনের অপরিহার্যতা নিয়ে আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। অজিত দোভাল এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতি গঠন এবং দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শাসনের ভূমিকা কেন্দ্রীয়। সুশাসনই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে একটি দেশ তার জাতীয় লক্ষ্য অর্জন করতে পারে এবং সেই সঙ্গে সাধারণ জনগণের ক্রমবর্ধমান আকাক্সক্ষা পূরণ করতে সক্ষম হয়।’
দোভাল স্পষ্ট করে বলেন, ‘একটি জাতির ক্ষমতা তার শাসনের ওপর নির্ভর করে। সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তার কার্য সম্পাদন করে এবং জাতি গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরা হলেন তাঁরাই, যারা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করেন, শক্তিশালী করেন ও যতœ নেন।’
অজিত দোভাল সুশাসনের ক্ষেত্রে উদ্ভূত নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর বিশ্লেষণ তুলে ধরে জানান, সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা এখন রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠেছে। তার মতে, ‘সাধারণ মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন ও উচ্চাকাক্সক্ষী, তাদের রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি এবং তাই রাষ্ট্র এই মানুষকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
দুর্বল শাসনব্যবস্থা কী ধরনের মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক করে দোভাল সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে শাসন পরিবর্তনের বিপদ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দুর্বল শাসন যেকোনো শাসন পরিবর্তনের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ টেনে আনেন। 
দোভাল উল্লেখ করেন, ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের মতো কয়েকটি দেশে অ-প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতে (নন-ইনস্টিটিউশনাল মেথড) শাসন পরিবর্তন হয়েছে, যার মূলে ছিল শাসনের দুর্বলতা। এই উদাহরণগুলো দেখায়, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং চরম পরিস্থিতি এড়াতে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শাসনব্যবস্থা কতটা জরুরি।’
অজিত দোভাল এমন সময় এ ধরনের মন্তব্য করলেন, যখন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।