ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট

মাহমুদুলের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের দিন

মাঠে ময়দানে প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ১২:১৯ এএম

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে রেকর্ডময় ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই ৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বার দেখা গেল এই ব্যাটিং-কীর্তি। এদিন সাদমান ৮০ রান করে আউট হলেও মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত ১৬৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন। মুমিনুল হক ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। তাদের ব্যাটিং কীর্তিতে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটি নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। এক উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিকেরা। প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। ৫২ রানের লিড নিয়ে এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিন বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাবে টাইগাররাÑ এমন প্রত্যাশা সবার।

গতকাল দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি পান মাহমুদুল। ২৮৩ বলে ১৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি ওপেনার। ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে ইনিংসটি সাজান তিনি। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসের রেকর্ড। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে টেস্টে নিজের চতুর্থ ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদুল। ১৯০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক তুলে নিলেন ২৪ বছর বয়সি এই ওপেনার। ওপেনিংয়ে তার অপর সঙ্গী সাদমান সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও মাহমুদুল সেই পথে হাঁটেননি। সেঞ্চুরির পথে তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কার বাউন্ডারি খেলেছেন। প্রথম সেঞ্চুরির পর মাহমুদুল ৩০ ইনিংসে খেলে কেবল তিনটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হতে না পারায় বাদ পড়েন জাতীয় দলের স্কোয়াড থেকেও। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্ম দেখিয়েছেন মাহমুদুল। সেই ফর্ম জাতীয় দলে টেনে এনে পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে সাদমানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ তুলেছিল ১৬৮ রান, যা গত ১০ বছরে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ।

৪৫ ইনিংস পর টেস্টে শুরুতে জুটিতে দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশ। ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করে ম্যাথু হামফ্রিজের বাঁহাতি স্পিনে আউট হন সাদমান। এরপর আরেকটি বড় জুটিতে আইরিশদে ভোগান্তি দীর্ঘায়িত করেন মাহমুদুল ও মুমিনুল। বাদ পড়ার আগে টানা ১৭ ইনিংসে ৪০ ছাড়াতে পারেননি মাহমুদুল। ফেরার ম্যাচে শতরান স্পর্শ করেন ১৯০ বলে। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ৩০ ইনিংস পর তিনি পেলেন দ্বিতীয়টির স্বাদ। পরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম দেড়শ রান ছুঁয়ে এগিয়ে যান আরও। ৭৫ বলে ফিফটি করে মুমিনুলও এগিয়ে যান সামনে। দিন শেষে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১৭০। দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি পেল বাংলাদেশ ৩০ ইনিংস পর।