বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

বললেন অর্থ উপদেষ্টা

এখন তো দুর্নীতিগ্রস্তের সঙ্গে সন্তানের বিয়ে দিতে লাফ দিয়ে চলে যাই

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১২:৫২ এএম

এখন তো দুর্নীতিগ্রস্তের  সঙ্গে সন্তানের বিয়ে দিতে  লাফ দিয়ে চলে যাই

দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, খুব কম শুনতাম দুর্নীতি। দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে আমরা দূর থেকে, আমার বাবারাও এভয়েড করত। যে লোকটা করাপশন করে, দূরে থাকি। ইভেন ছেলেমেয়ে বিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করত। এখন তো আমরা লাফ দিয়ে চলে চাই বিয়ে দিতে দুর্নীতিগ্রস্তের সঙ্গে। দুর্নীতি কোনো ব্যাপারই না, টাকা-পয়সা আছে, ওকে।’

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথাগুলো বলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা : গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুর্নীতিবাজ লোকের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এমনকি তাদের শাস্তিও হয় না বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তাদের ছেলেমেয়েরা মহানন্দ করে বেড়ায়। কারো কারো সন্তান নাকি সকালের নাশতার পেছনেই ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করে।’ এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক সচেতনতা যদি না থাকে, দুর্নীতিকে যদি ঘৃণা না করা হয়, তাহলে দুর্নীতি শেষ হবে না বলে মত দেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, দুর্নীতি রোধে শুধু উপদেশ নয়, কার্যকর শাস্তি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে হবে এবং তথ্য শেয়ারিং বাড়াতে হবে। আইন প্রণয়ন যত জরুরি, তার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইন প্রয়োগ বলে মনে করেন উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। উন্নত দেশগুলোর মতো কড়াকড়ি চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স, ক্রেডিট রেটিং ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি শক্তিশালী হলে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক এ কে এনামূল হক বলেন, দুর্নীতি কেবল শাস্তি দিয়ে শেষ করা যায় না, এ জন্য দরকার সামাজিক সচেতনতা, নৈতিক মূল্যবোধ ও ধারাবাহিক চেতনা। তিনি বলেন, দেশে ১৪ থেকে ১৫ রকমের দুর্নীতি রয়েছে।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!