চাকরির পেছনে না ছুটে ফ্রিল্যান্সিং করে ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন গোপালগঞ্জের তরুণ সফল উদ্যোক্তা শুভ রায়। শুধু নিজে নয়, অনুশীলন নামের একটি ট্রেনিং সেন্টারে ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের দক্ষ করে তুলছেন এই তরুণ। এতে তার প্রতি মাসে আয় হচ্ছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেকে দক্ষ করে তুলে আত্মনির্ভর হওয়ার পরামর্শ এই তরুণের।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া গ্রামের যুবক শুভ রায়। ২০১০ সালে এসএসসি ও ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৬ সালে অনার্স পাস করে ২০১৮ সালে মাস্টার্স শেষ করেন। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও চাকরির পেছনে না ছুটে বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নই কর্মসংস্থানের চাবিকঠি এ ধারণা নিয়ে শখ থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং।
এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ‘অনুশীলন’ নামের একটি প্লাটফর্ম দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে ও গোপালগঞ্জে একটি ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক দ্বারা দেশের বিভিন্ন স্থানের বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এই তুরুণ তুর্কী।
আর এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর পর্যন্তÑ সবখানেই ‘অনুশীলন’ হয়ে উঠেছে দক্ষতা উন্নয়নের এক নির্ভরযোগ্য কারিগরের নাম। আর দক্ষতার স্বাক্ষর রাখায় পেয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কারও।
সফল এই তরুণ বলেন, এখান থেকে শিক্ষিত বেকার তরুণরা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এরইমধ্যে কোর্স করে অনেকেই করপোরেট চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছেন। আবার অনেকে ব্যবসাও করছেন। অনুশীলনের রয়েছে নিজস্ব আইটি ও ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি, যেখানে অনুশীলনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ব্যক্তিরা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণদের জন্য গড়ে উঠছে তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থান।
দেশের ৬৪ জেলায় অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এতে তার মাসিক আয় হচ্ছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। একাডেমিক পড়ালেখা শেষ করার পরেও বাস্তবিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অনেক মেধাবী কর্মজীবন শুরু করতে পারেন না। তাই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেন এই তরুণ।
‘অনুশীলন’ থেকে দক্ষতার সঙ্গে বাস্তব প্রজেক্টে কাজ, ইন্টার্নশিপ করে সরাসরি চাকরি বা ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার পথ তৈরি করছেন তরুণ-তরুণীরা। প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের দক্ষ করা দায়িত্ব বলে মনে করেন এই সফল উদ্যোক্তা।

