পূর্বশত্রুতার জেরে রাজধানীর লালবাগ শহীদনগরে ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ হোসেন (২৫) নামের এক কারখানার কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনেরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, নিহত যুবক চুড়ি কারখানায় কাজ করতেন।
মোহাম্মদ হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বন্ধু আব্দুল রাকিব জানান, সোমবার রাতে ২ নম্বর গলি দিয়ে যাচ্ছিল হোসেন ও তার বন্ধু নীরব। তখন নীরবের হাতে একটি লোহার পাইপ ছিল। নীরবের কাছে সেই পাইপ চায় স্থানীয় আবির (২৮) নামের তাদেরই সমবয়সি আরেক যুবক। তখন পাইপ দিতে না চাইলে আবির নীরবকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মারে। প্রতিবাদে আবিরকে চড় মেরেছিলেন হোসেন।
রাকিব আরও জানান, রাতে ওই ঘটনার পর স্থানীয় বড় ভাইয়েরা মিলে তাদের ডেকে মীমাংসা করে দেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে কারখানায় কাজ শেষ করে খাবার খেতে হেঁটে বাসায় আসছিলেন হোসেন। শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে দুলালের দোকানের সামনে তখন ওত পেতে থাকা আবির সুইচ গিয়ার (ধারালো ছুরি) দিয়ে তার পেটে ৫-৬টি আঘাত করে। তখন আশপাশে থাকা লোকজন তাকে ধরে ফেলে এবং আহত হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বোন সুরাইয়া আক্তার জানান, তারা শহীদনগর ২ নম্বর গলিতে থাকেন। বাসার পাশেই গয়না তৈরির কারখানায় কাজ করে হোসেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়। তার বাবার নাম শাহ আলম। সুরাইয়া জানতে পেরেছেন আবির নামের এক ছেলে তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছে। তবে কী কারণে ছুরিকাঘাত করেছে, তা জানেন না তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবকের বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি লালবাগ থানায় অবগত করা হয়েছে।
লালবাগ থানার ওসি মো. ইয়াসিন আলী বলেন, শহীদনগরে মারামারির ঘটনায় এক যুবক হাসপাতালে মারা গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
তবে রাতে এ খবর লেখা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন