সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ঘিরে ফুটপাতে বসে ভাসমান দোকান। যেখানে পাওয়া যায় ৫ টাকায় পরোটা, ৭০ টাকায় খিচুড়ি, ১০০ টাকায় পোলাও, ছিল ২০০ টাকায় পাঞ্জাবি, ২০ টাকায় টুপিসহ নানা ব্যানার-ফ্যাস্টুন। একই সঙ্গে জামায়াতের পক্ষ থেকে সমাবেশের উদ্দেশ্যে আসা মানুষ ও পথচারীদের জন্য পানি ও অন্যান্য খাবারের ব্যবস্থা করে জামায়াতে ইসলামী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন এবং উদ্যানের ভেতরেও খাবারসহ পাঞ্জাবি, টুপি, আতরের ভাসমান দোকান বসে। কেউ ট্রাকে করে খিচুড়ি বিক্রি করছেন, অনেকে বড় বড় পাতিলে করে রান্না করা খিচুড়ি, পোলাও বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ শিঙাড়া, সমুচা, পরোটা, পাউরুটি, কলা, আচার, লেবুর শরবত, আনারস, আম ও পানি বিক্রি করছেন। জাতীয় সমাবেশের স্লোগান সংবলিত পাতলা গেঞ্জি ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল দুপুরে ফার্মগেট বাস স্ট্যান্ডে এলিভেটেড এক্সপ্রেসের নিচে খোলা পিকআপে করে খাওয়ার পানির বোতল, পাউরুটি, চানাচুর, কলা, ডিম, রুটি, মুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারসামগ্রী মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পথচারী আশপাশের ফুটপাতের দোকানদার, হকার, বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ নগরবাসী, মোটরসাইকেল রাইডারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ খাবার গ্রহণ করেন। জামায়াতের এক কর্মী জানান, সকাল থেকেই বিজয় সরণি, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট এবং কারওয়ান বাজার মোড়ে পিকআপ দিয়ে খাদ্যসামগ্রী ও পানি বিতরণ করা হয়েছে। প্রোগ্রাম শেষ হওয়া পর্যন্ত এভাবে খাবার ও পানি বিতরণ অব্যাহত থাকবে। জানা গেছে, রাজধানীর অন্তত ৩০টি পয়েন্টে এভাবে পানি ও খাবার বিতরণ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবকেরা খাবার ও পানীয় বিতরণের দায়িত্বে রয়েছেন বলেও জানা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :