নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার কাজটা জাতীয় বেতন কমিশন স্বাধীনভাবে করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কাজটা অনেক জটিল, তবে অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বেতন কমিশনের প্রতিবেদন (বেতন কাঠামো) চূড়ান্ত করে যাবে। আশা করা যায়, আগামী সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে।’ গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক সরকার এলে বেতন কাঠামো চূড়ান্তের বিষয়টি ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে বলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো দিয়ে যেতে পারবে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সাত থেকে আট বছর কিছু হয়নি। আমরা তো একটা উদ্যোগ নিয়েছি। ক্ষোভের পরিবর্তে বরং আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে কাজটি করা হচ্ছে। আগামী সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে না, তা আমার মনে হয় না।’
বেসামরিক, সামরিকসহ মোট তিনটি প্রতিবেদন (আরেকটা বিচার বিভাগ) পাওয়ার পর পারস্পরিক সামঞ্জস্য দেখা হবে বলেও জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কাজগুলো করতে একটু সময় লাগে। প্রশাসনিক কিছু প্রক্রিয়া আছে। সচিব কমিটি দেখবে, জনপ্রশাসন দেখবে। অর্থ বিভাগের সম্পৃক্ততাও আছে। তারপর বাস্তবায়ন করা যাবে। সে জন্যেই বলেছি, আমাদের সময়ে এটা বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে।’ সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া অপ্রত্যাশিত। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’
গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের প্রধান সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। এই কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এমন পটভূমিতে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে নতুন পে কমিশন গঠন করা হলো।

