ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

সাড়ে ৩ মাস পর বাড়ি ফিরল যমজ বোন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ১২:৩৯ এএম

ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত যমজ বোন সাড়ে তিন মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। গতকাল বুধবার তারা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে বাড়ি ফেরে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছে আরও তিন শিক্ষার্থী।

গতকাল বুধবার সকালে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই শিশুকে বিদায় জানান চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা এয়াছিন মজুমদারের যমজ মেয়েরা মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়। এর মধ্যে সায়রা ৩০ শতাংশ এবং সায়মা ১৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছিল ইনস্টিটিউটে।

মাইলস্টোনের স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার জানান, বাড়িফেরা সারিনাহ জাহান সায়রা ও সাইবাহ জাহান সায়মা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ডা. নাসির উদ্দিন জানান, ১০ বছর বয়সি সায়রার শরীরের ৩০ শতাংশ এবং সায়মার ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

তিনি বলেন, ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য যারা তাদের সেবায় ছিলেন, তাদের অনেকেই দুই বোনকে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান।

গত ২১ জুলাই দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বিমান দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশির ভাগই শিশু।

বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫৭ জন এখানে এসেছিল। তাদের মধ্যে ২০ জন মারা যান। একজনকে ট্রমা ম্যানেজমেন্টের জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ দুই বোনসহ মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেল। তিনজন এখন আছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

মাইলস্টোনের দুর্ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি গত ৫ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণার্থী পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটির কারণে বিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।