হত্যা-বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার আসামি হয়েও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন বাংলা টিভির এমডি ও পরিচালক। গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে জোরালো প্রচার অভিযানসহ হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় অভিযুক্ত বাংলা টিভির এমডি ও পরিচালক, সৈয়দ সামাদুল হক এবং মীর নূর উস সামস গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলা টিভির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৈয়দ সামাদুল হক এবং তার ভাগিনা নুরুস সামস যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা এবং উত্তরা থানায় তিনটি হত্যা মামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার আসামি। বাড্ডা থানার মামলার আসামি সৈয়দ সামাদুল হক পিতা- মৃত সৈয়দ রফিকুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার ১৩৬ নাম্বার আসামি। মীর নূর উস সামস বাড্ডা থানা আসামি নাম্বার ৫০, যাত্রাবাড়ী থানার আসামি নাম্বার ১৩৮।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারের সময় ১৬ বছর যাবত লন্ডন এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন তদবির এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন সামদুল হক। তিনি আওয়ামী আমলের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং এমপিদের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে এই দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলা চলমান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, এই আওয়ামী দুর্নীতিবাজ মিডিয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭১ টিভির মোজাম্মেল বাবু, সময় টিভির প্রাক্তন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মোহনা টিভির প্রাক্তন মন্ত্রী কামাল আহমেদ এমপি, গাজী টিভির গোলাম দস্তগীর গাজী (প্রাক্তন মন্ত্রী), ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সালমান এফ রহমান এমপি, দেশ টিভি আরিফ, মাই টিভির নাসির উদ্দিন সাথী, আরটিভি মোরশেদুল ইসলাম এমপি।
কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে খোলস পাল্টে গ্রেপ্তার এড়াতে, আবারো ক্ষমতাসীনদের চাটুকারিতা করে চলছেন সৈয়দ সামাদুল হক। ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, এই চাটুকার মিডিয়া ব্যবসায়ী সৈয়দ সামাদুল হক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এসে সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
