দেশের অন্যতম প্রাচীন ও স্বায়ত্তশাসিত কৃষিভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) পিএইচডি ছাড়া অধ্যাপক হয়েছেন ১৪৪ জন। এর মধ্যে অধ্যাপক ১৫ জন, সহযোগী অধ্যাপক ২২ জন এবং ১০৭ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন।
তথ্য মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫৮ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে, আর ১৮৯ জনেরই পিএইচডি ডিগ্রি নেই। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৩ শতাংশ শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য নির্দেশিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, কৃষি অনুষদে মোট শিক্ষক ২০৪ জন। এর মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া অধ্যাপক হয়েছেন ৯ জন, সহযোগী অধ্যাপক হয়েছেন ১৪ জন এবং সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন ৫৫ জন। এই অনুষদের ৮ জন প্রভাষকের কারও পিএইচডি ডিগ্রি নেই।
এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ১২ জন অধ্যাপকের সবারই পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। তবে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ১ জন এবং সহকারী অধ্যাপক আছেন ১৮ জন। এ ছাড়া এই অনুষদের ২১ জন প্রভাষকের একজনেরও পিএইচডি ডিগ্রি নেই।
ফিশারিজ অনুষদে ৩ জন অধ্যাপকের সবারই পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। তবে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন ১৪ জন। এ ছাড়া ৯ জন প্রভাষকের কারোরই পিএইচডি ডিগ্রি নেই।
কৃষি অর্থনীতি অনুষদে পিএইচডি ছাড়া অধ্যাপক হয়েছেন ৫ জন। এ ছাড়া পিএইচডি ছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন যথাক্রমে ৫ জন ও ১৭ জন শিক্ষক। এই অনুষদের ৮ জন প্রভাষকের কারোরই পিএইচডি ডিগ্রি নেই। ভাষা বিভাগে কর্মরত ৫ জন শিক্ষকের একজনেরও পিএইচডি ডিগ্রি নেই।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন বলেন, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা), ডেমো ক্লাস এবং একাডেমিক এক্সিলেন্সি মূল্যায়নের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে তারা অবশ্যই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
পদোন্নতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রভাষক পদ থেকে পদোন্নতির জন্য অন্তত দুটি ইনডেক্স জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ (পাবলিকেশন) প্রকাশ এবং ন্যূনতম তিন বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। আর অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রির পাশাপাশি ফার্স্ট অথর হিসেবে গবেষণা প্রকাশনা থাকা বাধ্যতামূলক।
ইনডেক্স জার্নালে গবেষণা প্রকাশনা ছাড়া কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের নিয়মিত জ্ঞান ও গবেষণায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

