ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিকে স্বাগত জানিয়েছেন সাকি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ১২:৫১ এএম

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার আদেশ জারিকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এখন এই আদেশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে গণসংহতির শীর্ষ নেতৃত্ব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এর মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সব বাধা দূর হবে। সে জন্য সব দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে আদেশ জারিকে গণসংহতি আন্দোলন স্বাগত জানায়। তবে এই আদেশ যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, তার জন্য জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’ অন্তর্বর্তী সরকারকে এ বিষয়ে উদ্যোগ অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানায় গণসংহতি আন্দোলন। তবে গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, এই আদেশের বিষয়বস্তুতে গণভোটের পদ্ধতি অংশে যেসব ধারা লেখা হয়েছে, সেগুলো এমনকি যারা এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, তাদের কাছেও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘ক’ ধারায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এখানে ভিন্নমত বিষয়ে কী মীমাংসা হবে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যাভেদে পার্থক্য করার সুযোগ থাকায় তা স্পষ্ট হয়নি। অন্যান্য ধারাগুলোও যথেষ্ট জটিল। এতে করে জনগণের মতামত দিতে সমস্যা তৈরি হবে।

গণসংহতি আন্দোলন মনে করে, বিশেষত চারটি প্রস্তাবের বিষয়ে একটি প্রশ্ন রাখায় জনগণের জন্য মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে একটা সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি করতে পারে। এতে জনগণের বেছে নেওয়ার অধিকার খর্ব করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে পরিষ্কার করে জনগণকে জানানো এবং নির্বাচনের আগেই টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও প্রচারপত্র মারফত গণভোটের বিষয়বস্তু ও প্রক্রিয়ার বিষয়ে জনগণকে সম্যক অবহিত করা সরকারের দায়িত্ব। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দাবি গণসংহতি আন্দোলন প্রথম থেকেই করে আসছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই দাবির ন্যায্যতা ও অপরিহার্যতা অবশেষে বুঝতে পারায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এটিও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে বাস্তবায়ন করাটা জাতীয় স্বার্থেই জরুরি।’