ঢাকা বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বললেন সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী বর্হিবিশ্বে  অবদান রেখে চলেছে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:১৭ এএম

দেশের সীমানা পেরিয়ে সেনাবাহিনী বহির্বিশে^ও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। এ সময় নবীন ক্যাডেট অফিসারদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান সেনাপ্রধান। 

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৮৯তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্স ও ৬০তম স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর নেতৃত্বে উপযুক্ত সেনা অফিসার তৈরির লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ একাডেমি হতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের নেতৃত্বে শৃঙ্খলা, আনুগত্য, ন্যায়পরায়ণতা ও কর্তব্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের সেনাবাহিনী আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশে^ও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।’

সেনাপ্রধান প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, ‘শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।’

সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য একাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সেনাপ্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মাঝেও পুরস্কার বিতরণ করেন।

কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এ মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ১৮৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত নবীন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।

কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবম-িত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথি এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট তাকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে এ বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।