ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় যুক্তিসঙ্গত শাস্তির বিধান প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া রিটটি দায়ের করেন।
রিটের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ পেনাল কোডে ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের অভিযোগের মামলায় বর্তমানে দুই বছরের সাজার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনেও দুই বছরের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই সাজা অপ্রতুল। এ কারণে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মতো অনেকে মহান আল্লাহ ও আমাদের নবীকে নিয়ে কটূক্তি করার সাহস পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, রিটে আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস করার নির্দেশনা চেয়েছি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হলে এই অপরাধ করতে কেউ সাহস পাবে না।

