ডিসেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১২৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অটোগ্যাস ৫৫.৫৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭.৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারদর এবং ডলারের দাম কিছুটা বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে এলপিজির দাম। নতুন দর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নতুন দর ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। এ সময় কমিশনের সদস্য মো. মিজানুর রহমান, মো. আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহিদ সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন। টানা কয়েক মাস দাম কমার পরে ঊর্ধ্বমুখী এলপিজির বাজার। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এলপি গ্যাসের দাম কমেছে। নভেম্বরে ২৬ টাকা কমিয়ে ১২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা অক্টোবরে ১২৪১ টাকা ও সেপ্টেম্বরে ছিল ১২৭০ টাকা।
সাধারণত শীতকালে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোয় এর চাহিদা বেড়ে গেলে দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়। আমদানিনির্ভর এলপিজিতে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিলে প্রথম দর ঘোষণা হয়। ওই আদেশে বলা হয়, সৌদিতে দর উঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। তবে অভিযোগ রয়েছে, কখনই বিইআরসি নির্ধারিত দরে বাজারে এলপি গ্যাস পাওয়া যায় না। আবার বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অনেক কম দামে পাওয়া যায় এলপি গ্যাস। সেখানে পরিবহন খরচ অনেক কম পড়ছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের যুক্তি হচ্ছে তারা ছোট জাহাজে করে পরিবহন করায় খরচ বেশি পড়ছে।
সম্প্রতি এক সেমিনারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হওয়া উচিত ১০০০ টাকা। ১২০০ টাকার সিলিন্ডার ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। দায়িত্বহীন ব্যবসা হতে পারে না, ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে। এলপিজির দাম কমানোটা চ্যালেঞ্জ, এজন্য ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে, বেশি মুনাফা করে টাকা পাচারের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

