রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৪:০৪ এএম

তদন্তে কমিটি

কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ০৪:০৪ এএম

কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ  নেওয়ার অভিযোগ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হকের বিরুদ্ধে সোলার সেচ প্রকল্পের পাম্পের বিনিময়ে কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন দুই ভুক্তভোগী। গত ১৮ নভেম্বর তারা এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী দুজন হলেন, উপজেলার চ-িগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রামের কৃষক হাসান আলী ও তার ফুফাতো ভাই আলাল মিয়া।

হাসান আলী জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার ফুফাতো ভাই আলালের নামে সোলার সেচপাম্প বরাদ্দ আসে। এ নিয়ে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক খরচের কথা বলে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি জানান, চাহিদামাফিক হাতে হাতে ৩০ হাজার টাকা এবং গত ১০ নভেম্বর রায়হানুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আরও ২০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। পরে আবার ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হলে তারা লিখিত অভিযোগ করেন।

হাসান আলী বলেন, পরে জানতে পারি, এই সরকারি কাজে কোনো টাকা লাগে না। তাই অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।

আলাল মিয়ার অভিযোগ, সরকারি কাজে কোনো টাকা লাগে না। কিন্তু রায়হান স্যার ১ লাখ টাকা চেয়েছেন, এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। আমরা টাকা ফেরত চাই।

জানা গেছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিপা বিশ্বাস চলতি বছরের ২ জুন ছুটিতে গেলে তার দায়িত্ব অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল হক অস্থায়ীভাবে গ্রহণ করেন। তার দায়িত্বকালেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গত মঙ্গলবার তার অতিরিক্ত দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার কথা ছিল।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে রায়হানুল হককে পাওয়া যায়নি। অফিস সূত্র জানায়, তিনি ছুটিতে আছেন। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা জানেন, আমি কেমন অফিসার।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!