ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

সাদাছড়ি থেকে স্মার্ট গাইড: দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে প্রযুক্তির নতুন ছোঁয়া

মো. জসিম উদ্দিন, প্রভাষক ও কলাম লেখক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০১:২৭ এএম

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য একটি সাদাছড়ি শুধু চলাচলের উপকরণ নয়Ñ এটি তাদের আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক। একসময় এই ছড়ি ছিল কেবলমাত্র দিকনির্দেশনার সহায়ক; কিন্তু এখন, প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এটি রূপ নিচ্ছে এক ‘স্মার্ট গাইড’-এ, যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনে নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে আনুমানিক ৭-৮ লাখ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছেন (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা,-২০২৩)। তাদের বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবার থেকে আসায় আধুনিক সহায়ক প্রযুক্তি এখনো নাগালের বাইরে। এই বাস্তবতায় প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতা হতে পারে তাদের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সূচনাÑ যা শুধু নিরাপদ চলাচল নয়, বরং শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির নতুন দ্বার খুলে দিতে পারে।

ঢাকার মিরপুরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণ রাকিবুল ইসলাম আগে একা চলাফেরা করতে ভয় পেতেন। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হলে কারো সাহায্যের প্রয়োজন হতো। এখন একটি স্থানীয়ভাবে তৈরি স্মার্ট সাদাছড়ির সাহায্যে তিনি প্রতিদিন অফিসে যান, মোবাইল অ্যাপের নির্দেশ শুনে পথ চিনতে পারেন। তার ভাষায়, ‘আগে মনে হতো আমি অন্ধকারে বন্দি, এখন মনে হয় প্রযুক্তি আমাকে চোখ দিয়েছে।’

এই এক রাকিবুলের গল্প আসলে হাজারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের আশা ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি।

সাদাছড়ির ইতিহাস ও তাৎপর্য:

বিশ্বে ‘সাদা ছড়ি’ প্রথম ব্যবহার শুরু হয় ১৯২১ সালে, যখন ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার জেমস বিগস নিজের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে রাস্তায় চলাচলের জন্য সাদা রঙের একটি ছড়ি ব্যবহার শুরু করেন, যাতে অন্যরা তাকে সহজে চিনতে পারে। পরে ১৯৬৪ সালে জাতিসংঘ ১৫ অক্টোবরকে ঘোষণা করে ‘ডযরঃব ঈধহব ঝধভবঃু উধু’ হিসেবে, যা আজও প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার, নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা তুলে ধরতে।

বাংলাদেশেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জীবনে সাদাছড়ি শুধু চলাচলের মাধ্যম নয়, বরং তাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে সেই সাদাছড়ি নতুন এক বিপ্লবের সূচনা করেছেÑ ‘স্মার্ট সাদাছড়ি’ নামে।

প্রযুক্তি নির্ভর সাদাছড়ি: নতুন দিগন্ত:

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সাদাছড়ির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্মার্ট প্রযুক্তি সেন্সর, জিপিএস, ব্লুটুথ ও ভয়েস গাইডেড সিস্টেম। এই ছড়িগুলো সামনে কোনো বাধা এলে কম্পন বা শব্দের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেয়। কেউ চাইলে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মানচিত্রে নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারেন, গন্তব্যের দিকনির্দেশও পান।

ভারতের হায়দরাবাদে তৈরি ‘ঝসধৎঃ ঠরংরড়হ ঈধহব’, জাপানের ‘ডবডধষশ’, কিংবা বাংলাদেশের ‘স্মার্ট সাদাছড়ি প্রজেক্ট (ওঈঞ উরারংরড়হ)’সবগুলোই একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে: দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের স্বাবলম্বিতা বৃদ্ধি। বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কয়েকটি স্টার্টআপ স্থানীয়ভাবে স্মার্ট ছড়ি তৈরি করছে, যার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কমÑ এটি আমাদের জন্য এক ইতিবাচক দিক।

প্রযুক্তি ও মানবিক উদ্যোগ:

বাংলাদেশের ব্লাইন্ড এডুকেশন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইঊজউঙ), একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ব সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নতমানের স্মার্ট সাদাছড়ির প্রয়োজনীয়তা এবং তা সহজলভ্য করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ইঊজউঙ-এর নির্বাহী পরিচালক মি. সাইদুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে স্মার্ট সাদাছড়ি আমদানি করা হয়, যা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হলেও তা অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, স্মার্ট সাদাছড়ি উৎপাদন করে তা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য সহজলভ্য করা।’

এই উদ্যোগের মাধ্যমে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা এবং স্বাধীনতা অর্জনে প্রযুক্তির সহায়তা পাচ্ছেন।

শিক্ষায় প্রযুক্তির সহায়ক ভূমিকা:

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি এখন শিক্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রেইল বইয়ের পাশাপাশি ব্রেইল ডিসপ্লে, স্ক্রিন রিডার, ভয়েস সফটওয়্যার এবং স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন তাদের শিক্ষাকে সহজ করে তুলেছে।

একসময় যেখানে পাঠ্যবই পড়া বা পরীক্ষা দেওয়া ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ, এখন সেখানে ‘টকিং বুকস’, ‘অডিও লাইব্রেরি’ ও ‘ই-বুক ব্রেইল কনভার্টার’ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের সমান সুযোগ দিয়েছে।

স্মার্ট সাদাছড়ির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলাচলও হয়েছে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী। এই প্রযুক্তি তাদের শুধু বিদ্যালয়ের দরজায় পৌঁছে দেয় না, বরং শিক্ষা অর্জনের পথে ‘নির্ভরতার’ বদলে ‘স্বনির্ভরতা’র বার্তা দেয়।

কর্মসংস্থান ও আত্মনির্ভরতা:

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় বাধা ছিল চলাচলের সীমাবদ্ধতা ও যোগাযোগে অসুবিধা। কিন্তু স্মার্ট ছড়ি ও সহায়ক প্রযুক্তি ব্যবহারে এই সীমাবদ্ধতা অনেকটাই কমে এসেছে।

আজ তারা কল সেন্টার, আইটি সাপোর্ট, অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েশন, সংগীত ও রেডিও প্রেজেন্টেশনসহ নানা পেশায় যুক্ত হচ্ছেন।

বাংলাদেশের কয়েকটি এনজিও, যেমন ‘স্পর্শ ফাউন্ডেশন’ ও ‘চোখের আলো প্রকল্প’, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে।

তাদের জন্য তৈরি হচ্ছে ‘টেক-ল্যাব’, যেখানে স্মার্ট সাদাছড়ি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে ডিজিটাল দক্ষতা শেখানো হয়।

এই প্রবণতা শুধু কর্মসংস্থান নয়, বরং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলছেÑ যেখানে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সমাজের সক্রিয় সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন।

সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি:

প্রযুক্তি শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চলাচল সহজ করেনি, বরং সমাজের মানসিকতাও বদলাতে শুরু করেছে। একসময় যেখানে তাদের প্রতি ছিল কেবল সহানুভূতির দৃষ্টি, এখন সেখানে ‘সম্মান ও অংশীদারিত্বের’ নতুন দৃষ্টি তৈরি হচ্ছে। স্মার্ট সাদাছড়ি সেই পরিবর্তনের প্রতীকÑ যা প্রতিবন্ধকতা নয়, সামর্থ্য ও সক্ষমতাকেই মানুষের পরিচয় হিসেবে তুলে ধরছে।

তবে শুধু প্রযুক্তি যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সামাজিক সহায়তা ও নীতিগত সমর্থন। এখনো দেখা যায়, সাদাছড়ি হাতে নিয়ে কেউ রাস্তা পার হতে চাইলে অনেক সময় পথচারী বা চালকরা সচেতনভাবে সহায়তা করে না। এটি শুধু মানবিকতার অভাব নয়, বরং সামাজিক দায়িত্ববোধের ঘাটতির প্রকাশ। প্রতিটি নাগরিককে বুঝতে হবেÑ একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের নিরাপদ চলাচল শুধু তার অধিকার নয়, আমাদের সভ্যতারও মানদ-। প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি তাই কেবল সহায়ক যন্ত্র নয়; এটি মানবিকতার নতুন আলো ছড়ানো এক সামাজিক বিপ্লব।

সরকারি উদ্যোগ ও নীতিগত সহায়তা:

বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নীতি’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ এবং ‘সবার জন্য প্রযুক্তি’ নীতির আওতায় বিশেষ সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।

কিন্তু স্মার্ট সাদাছড়ির মতো সহায়ক যন্ত্রে এখনো সরকারি প্রণোদনা বা ভর্তুকি তেমন দৃশ্যমান নয়।

যদি এসব ডিভাইসকে ‘সহায়ক শিক্ষা উপকরণ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করে, তাহলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নাগরিকদের জীবনমান আরও উন্নত হবে।

এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত স্মার্ট সাদাছড়ি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক সহায়ক প্রযুক্তি বাজারেও নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।

চ্যালেঞ্জ ও করণীয়:

প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ির দাম এখনো অনেক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর আয়সীমার বাইরে। একটি উন্নত মানের স্মার্ট সাদাছড়ির দাম প্রায় ৮-১২ হাজার টাকা, যা নি¤œবিত্ত পরিবারের নাগালের বাইরে। ফলে শহরের কিছু মানুষ এ সুবিধা পেলেও, গ্রামীণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা রয়ে যাচ্ছেন পিছিয়ে।

এ ছাড়া, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রেইল শিক্ষা, ভিজ্যুয়াল সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের অভাব প্রকট। অনেক সময় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা এসব যন্ত্র পেয়ে গেলেও, ব্যবহার শিখতে না পারায় সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন না।

সরকারি পর্যায়ে যদি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, স্থানীয়ভাবে সাদাছড়ি তৈরির উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি আমদানিতে কর ছাড় দেওয়া যায়, তবে এই খাত দ্রুত বিকশিত হতে পারে। একই সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওদের সম্পৃক্ত করা গেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও বাড়বে।

ভবিষ্যতের পথচলা:

আগামী দিনে সাদাছড়ি আর কেবল সেন্সরযুক্ত যন্ত্র থাকবে না; এটি হয়ে উঠবে এক ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইন্টারনেট অফ থিংস ও অগমেন্টেড রিয়েলিটির সমন্বয়ে কাজ করবে। এই উন্নত সাদাছড়ি আশপাশের পরিবেশ বিশ্লেষণ করে ভয়েস বা কম্পনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে জানাবে কোথায় গর্ত, দেয়াল, রাস্তা বা যানবাহন রয়েছে। এমনকি এটি রাস্তার মানচিত্র চিনে নিয়ে রিয়েল-টাইম ভয়েস নির্দেশনা, আবহাওয়া, যানজট বা রাস্তার নির্মাণকাজ সম্পর্কিত তথ্যও দিতে পারবে।

যদি এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করা যায়, তবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জীবনে শুরু হবে এক নতুন অধ্যায়Ñ‘ঝসধৎঃ ওহপষঁংরড়হ’, অর্থাৎ প্রযুক্তিনির্ভর সামাজিক অন্তর্ভুক্তির যুগ। এটি শুধু তাদের চলাচল নয়, বরং শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।

পরিশেষে বলা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি কেবল একটি সহায়ক যন্ত্র নয়Ñ এটি তাদের আত্মমর্যাদা, স্বাবলম্বিতা ও সামাজিক স্বীকৃতির প্রতীক। আধুনিক প্রযুক্তির স্পর্শে এই সাদাছড়ি এখন হয়ে উঠেছে তাদের স্বাধীনতার হাতিয়ার, নতুন জীবনের চাবিকাঠি। আজ স্মার্ট সাদাছড়ি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের হাতে জ্বালিয়েছে আশার আলোÑ শিক্ষায়, কর্মে, জীবনে এবং মর্যাদায়।

প্রযুক্তি হয়তো তাদের চোখে আলো দিতে পারেনি, কিন্তু দিয়েছে জীবনে আলো ছড়ানোর ক্ষমতা। যদি এই প্রযুক্তি সবার নাগালে পৌঁছে যায়, তাহলে রাকিবুল ইসলামের মতো আরও হাজারো তরুণ বলতে পারবে- ‘আমি চোখে দেখি না, কিন্তু প্রযুক্তি আমাকে আলো দেখায়।’

এই আলোই আমাদের মানবতার আসল সীমানাÑ যেখানে দৃষ্টি নয়, দৃষ্টিভঙ্গিই সবচেয়ে বড় শক্তি। সমাজের দায়িত্ব হলো সেই আলোকে আরও উজ্জ্বল করাÑ নীতিগত সহায়তা, সামাজিক সচেতনতা ও মানবিক সহমর্মিতার মাধ্যমে। কারণ, একসময় যাদের বলা হতো ‘অন্ধ’, আজ তারা প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দেখতে পাচ্ছেন এক নতুন পৃথিবীÑ যেখানে সীমাবদ্ধতা নয়, সম্ভাবনাই তাদের নতুন পরিচয়।