বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিসেম্বর মাসজুড়ে যাত্রাপালা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে নিবন্ধিত যাত্রা দলগুলো প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। গতকাল ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে প্রদর্শনী। উৎসবে মোট ৩১টি পালা মঞ্চায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।
এই আয়োজনের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে খুলনার পাইকগাছার সূর্যতরুণ নাট্য সংস্থার ‘মৃত্যুর চোখে জল’। পালাকার দেবেন্দ্রনাথ, পরিচালনায় প্রণব ম-ল। ২ ডিসেম্বর মঞ্চে থাকবে নরসিংদীর শিবপুরের পালাদল নিউ জহুরা অপেরা। দলটি পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘কাশেম মালার প্রেম’। পালাকার শামসুল হক, পরিচালনায় মোস্তাফিজুর রহমান। ৩ ডিসেম্বর দেখা যাবে নরসিংদীর বেলাবর বাংলার নায়ক অপেরার ‘সাগর ভাসা’। পালাকার জসিমউদ্দিন, পরিচালনায় মেহেদী হাসান রতন।
৪ ডিসেম্বর দেখা যাবে সাতক্ষীরার দেবহাটা নাট্য সংস্থার ‘অভাগিনী বধূ’, ৫ ডিসেম্বর ঢাকার খিলগাঁওয়ের রনি নাট্য সংস্থার ‘আপন দুলাল’, ৬ ডিসেম্বর সিলেটের কানাইঘাটের নিহা যাত্রা ইউনিটের ‘গুনাই বিবি’, ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনার প্রত্যয় বাংলাদেশ যাত্রাদলের ‘সিরাজদ্দৌলা’, ৯ ডিসেম্বর নরসিংদীর নিউ স্টার অপেরার ‘বাহরাম বাদশা’, ১০ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বনফুলের ‘চরিত্রহীন’।
এই উৎসবে আরও অংশ নিচ্ছে ঢাকার বিপ্লব নাট্য সংস্থা, সাতক্ষীরার তালার রাধাকৃষ্ণ নাট্য সংস্থা, দিনাজপুরের নিউ বঙ্গশ্রী নাট্য সংস্থা, মাগুরার উর্মি অপেরা, কুড়িগ্রামের রৌমারী নাট্য সংস্থা, বরিশালের পুরবী যাত্রা ইউনিট, গোপালগঞ্জের বীণাপাণি যাত্রাপার্টিসহ আরও অনেক দল।
দর্শকের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। শিল্পকলা একাডেমি জানিয়েছে, প্রদর্শনীর টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট যাত্রাদলকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে থাকছে দেশাত্মবোধক যাত্রাগানের কনসার্ট।

