চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি-বিবিরহাট মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন গ্রিল ওয়ার্কশপ কর্মচারী ওবায়দুল্লাহ (২২) ও তার খালাতো ভাই সাইমন। ছেলের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর শুনে তার অসুস্থ মা হাসিনা খাতুন (৫০) স্ট্রোক করে মারা গেছেন। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় শোকাহত পশ্চিম ভুজপুরের মানুষ।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতার কারণে হাটহাজারী ডাক্তারের কাছে সিএনজিযোগে যাচ্ছিলেন হাসিনা খাতুন। তার ছোট ছেলে ওবায়দুল্লাহ (২২) মোটরসাইকেলে করে মায়ের সিএনজির পেছনে পেছনে আসছিলেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে আনোয়ার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী কাভার্ড ভ্যানকে লাগিয়ে দেয় মোটরসাইকেলটি। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ওবায়দুল্লাহ গুরুতরভাবে আহত হন।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, ওবায়দুল্লাহর দুর্ঘটনার খবর তার মা হাসিনা খাতুনের কানে পৌঁছলে তিনি পথেই স্ট্রোক করেন এবং হাটহাজারী সরকারহাটের একটি ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত হাসিনা খাতুনের দুই ছেলে। ওবায়দুল্লাহ দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তিনি গ্রিল ওয়ার্কশপে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছিলেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মো. মাসুদ রানা বলেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর আমি ওবাইদুল্লাহকে নিয়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে চমেকে রেফার করে দেয়। তার মাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সরকার পর্যন্ত নেওয়ার পর ওবাইদুল্লাহর অ্যাকসিডেন্টের কথা শুনে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। ওবাইদুল্লাহদের আর্থিক অবস্থা ভালো না, তার চিকিৎসা করাতে পারছি না, সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।