মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আব্দুল ওয়াহাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ০১:৫৫ এএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি

আব্দুল ওয়াহাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ০১:৫৫ এএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি

 

  • উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে
  • জেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছে, ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি চলছে

উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং শত শত হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২১.৬২ মিটার দিয়ে, যা বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচে।

সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৫০০ ও আলাতুলি ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার পানিবন্দি। শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নে ২ হাজার, উজিরপুরে ৪৫০ ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন।

এ ছাড়া সদর উপজেলার ৪৩ হেক্টর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৩৬০ হেক্টর জমির ধান, ভুট্টা ও শাক-সবজি পানিতে ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।পাকা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘ধানসহ সবজি পানির নিচে ডুবে গেছে। অনেক বাড়ির চারপাশে পানি উঠে গেছে, শুধু বসতভিটা শুকনা আছে।’নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘পানির এ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চলের সব বাড়িঘর ডুবে যাবে।’

দুর্লভপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজম আলী জানান, দোভাগী ফিল্টেরহাট, নামোজগন্নাথপুর ও বাদশাপাড়া এলাকার জমি পানিতে তলিয়ে গেছে, এতে প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি।

বন্যার কারণে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি জানান, বিকল্প স্থানে পাঠদান চালুর চেষ্টা চলছে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!