ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০১:৫২ এএম

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের আব্দুর রব-চন্দ্র বানু দম্পতির সন্তান আব্দুস সামাদ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন মাদ্রাসায়। ২০০৯ সালে বাড়ির পাশে হারাগাছপাড়া জান্নাতুল ফেরদৌস মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরির লোভে আশ্রয় নেন প্রতারণার। চাচাকে বাবা বানিয়ে তৈরি করেন জাতীয় পরিচয়পত্র।

২০১০ সালে ভর্তি হন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাস করে চাকরি নেন পুলিশে। ছেলেকে ভাতিজা দাবি করলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নারাজ তার পরিবার।

আব্দুস সামাদ বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানায় কর্মরত রয়েছেন।

তার বড় চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার আলী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ি গ্রামে বসবাস করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামাদ আমার ভতিজা। কাগজপত্র চুরি করে এমন জালিয়াতি করেছে। আমি রংপুর পুলিশ অফিসে অভিযোগ করেছি।’

সামাদের বন্ধু আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে খেলাধুলা করেছি। একই মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেছি। ২০০৯ সালে একসঙ্গে দাখিল পরীক্ষায় পাস করেছি। সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানে থাকত।

হারাগাছপাড়া জান্নাতুন ফেরদৌস মাদ্রাসার শিক্ষক বলেন, ‘সামাদের বাড়ি এখানে। এই মাদ্রাসা থেকে সে দাখিল পাস করে। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক পরিচয় রয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সামাদ আনসার আলীকে নিজের বাবা বলে দাবি করেন। তবে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, ‘জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়া অপরাধ। অভিযোগ পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’