চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বেলাল হোসেনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মো. সুমন নামের এক যুবদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মীরেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে সীতাকু- মডেল থানার পুলিশের একটি টিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকু- থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় সুনির্দিষ্ট কোনো আসামি নেই। এ হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকা-ের সাসপেকটেড আসামি হিসেবে তাকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত বেলালের মামাতো ভাই জাহাঙ্গীরের দাবি, বেলাল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো। কারো ক্ষতি করতো না। যারা চুরি- ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা করতো সে ছিলো তাদের আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর বলেন, চোর, ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের দেখলে দৌড়িয়ে এলাকা পার করে দিতো নিহত বেলাল।
ওই বাজারে দোকানের মালিক অভিজিৎ বলেন, দোকানে নানাভাবে চাঁদা দাবি করতে আসা লোকদের বেলার গালমন্দ করতো। কয়েকদিন পূর্বে বাদশা নামে এক ব্যক্তি সুমনের নামে চাঁদা চাইতে আসলে বেলাল তাদের দৌড়ানি দিয়েছিলো। এ সময় বাদশা বেলাল ও আমাকে হুমকিও দিয়েছিল।
মীরেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, যুবদল নেতা সুমনের একটি বাহিনী রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় মানুষের জায়গা ও দোকান-গোডাউন দখল-বেদখলে রাজত্ব ছিল তার।
তিনি আরও বলেন, নিহত বেলাল মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও তার দখল হয়ে যাওয়া একটি গোডাউনের পাশে জমিতে থাকত নিহত বেলাল। ওই জায়গাতে থেকে দখলকারী সুমন ও তার বাহিনীর লোকদের দেখলে গালমন্দ করে কথা বলতেন তিনি। কিন্তু যুবদল নেতা সুমনের তা সহ্য করত না। অনেক সময় তিনি বেলালকে পিটিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মীরেরহাট বাজারে গাছের টুকরো দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বেলালকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তিনি মীরেরহাট বাজারের দক্ষিণে জয়নাল উকিলের বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। এ ঘটনায় তার মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।

