নীলফামারীতে আকলিমা খাতুন (২১) নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও অর্থদ- প্রদান করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউদ্দিন মাহমুদ এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুর কাঙ্গালুপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে মো. আনোয়ারুল হক (৩৫), একই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে ছামিউল ইসলাম শুভ (২৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুরের শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আকলিমার বিয়ের পর পারিবারিক ঝগড়া বাড়তে থাকে। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট অভিমান করে তিনি সৈয়দপুরের কিসামত কামারপুকুরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। কিছুদিন পর স্বামী শরিফুলের পাঠানো তালাকনামার ফলে হতাশাগ্রস্তু হয়ে পড়ে। এরপর ২২ আগস্ট ভোরে আকলিমাকে ঘরে না পেয়ে তার খোঁজ শুরু করেন মা। পরে মৎস্য খামারের পেছনে একটি জমিতে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, আকলিমাকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়।
নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান রিনো বলেন, গৃহবধূ আকলিমা হত্যা মামলায় দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মোট ১৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করেন। তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
