বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:০৬ এএম

ঠিকাদারের অলসতায় থেমে আছে সড়ক উন্নয়নের কাজ

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:০৬ এএম

ঠিকাদারের অলসতায় থেমে  আছে সড়ক উন্নয়নের কাজ

নড়াইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসের অবহেলায় থমকে আছে আকদিয়া-নিরালি সড়ক উন্নয়ন কাজ। আড়াই বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ২ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫৬ টাকা চুক্তিতে আকদিয়া-নিরালি ২ হাজার ৫০০ মিটার সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফকির এন্টারপ্রাইজ। ২০২৪ সালের এপ্রিলেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো কার্পেটিং ও পেলাসেটিংয়ের কাজ বাকি।

সড়কের পাশে রয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ এবং বড়-ছোট কয়েকটি বাজার। ফলে প্রতিদিন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শিমুলিয়া গ্রামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাস্তাটি এভাবে ফেলে রাখায় স্কুল-কলেজে যাতায়াতে বিপাকে পড়ছি। হাট-বাজারে যাওয়া আর বিল থেকে ফসল আনা, সব কিছুতেই কষ্ট।’

স্থানীয় বাসিন্দা পারুল বেগম বলেন, ‘বর্ষাকালে এই রাস্তায় চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তা খারাপ থাকায় বিয়ে-শাদি থেকে শুরু করে রোগী হাসপাতালে নেওয়াÑসব কিছুতে দুর্ভোগের শেষ নেই।’

স্কুলছাত্রী আফরিন আকতার জানান, ‘পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। ধুলাবালিতে হাঁটাও যায় না, আর সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা কাদায় ঢেকে যায়।’

ওষুধ ব্যবসায়ী সুজিত বিশ্বাস বলেন, ‘তিন বছর ধরে কাজ হচ্ছে, কিন্তু শেষ হওয়ার নাম নেই। অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নেওয়ার মতো অবস্থাও নেই রাস্তাটির।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তা নদীর পাশে হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। আমরা যে জায়গায় পেলাসেটিং করেছি, সেটিও নদীতে ধসে গেছে। অফিসকে জানানো হয়েছে, সমাধান পেলেই কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার ইকরামুল কবীর বলেন, ‘সড়কটি নদীর পাশে হওয়ায় অতিরিক্ত পেলাসেটিং প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!