ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

পাকিস্তান সিরিজেও জয় চায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৫২ এএম

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে মাত্র তিনটি। এই তিন সিরিজের কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সব কটি ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ের রেকর্ড। সর্বশেষ গত মে মাসে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানিরা। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেও একই ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছে তারা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ২২টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানকে মাত্র তিন ম্যাচে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে এখনো একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জেতা হয়নি তাদের। কিছুদিনের ব্যবধানে আবার দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

আজ থেকে মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৬টায় দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা। এই সিরিজকে পাখির চোখ করেছেন লিটন কুমার দাসরা। শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে যে ইতিহাস রচনা করেছে তারা, সেই সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে পাকিস্তান সিরিজেও নতুন ইতিহাস গড়তে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে চায় স্বাগতিকেরা।

প্রায় দুই মাস আগে পাকিস্তান সফরে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেও ঘরের মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে এখন দাঁড়াতে পারে বাংলাদেশ। হোম অ্যাডভান্টেজই বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে। মিরপুরের চেনা উইকেট, পরিচিত দর্শক আর অনুকূল পরিবেশÑ সবকিছু মিলে বাংলাদেশ দলকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। পাকিস্তান সিরিজে সফল হওয়ার লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইতিহাস গড়া জয়ী দলটিকেই অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ। স্কোয়াডে আছেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে তার মূল একাদশে জায়গা হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। কেননা, শ্রীলঙ্কার সিরিজের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান শেখ মেহেদী হাসান। মিরপুরের উইকেট বিবেচনায় তাকে একাদশে রাখা হতে পারে। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিং লাইনআপেও পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনাই বেশি। মিরপুরের মাঠে খেলা বলে পাকিস্তান সিরিজ ঘিরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা বাংলাদেশের। এরই মধ্যে ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ বলেছেন, জয়ের যে ছন্দে আছে বাংলাদেশ, সেটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন তারা। মিরপুরের উইকেট কেমন হয়, সেটি ভালো করে জানা আছে তাদের। পাকিস্তান সিরিজের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ দল। আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। সামনের দিকেই চোখ রাখছে টাইগাররা।

অন্যদিকে রিজওয়ান, বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ছাড়াই বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। তবে সালমান আগার নেতৃত্বাধীন দলটি ভালো চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে বাংলাদেশকে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ ছড়াবে এবং উপভোগ্য ক্রিকেট উপহার দেবে দুই দল। এই সিরিজে কারা শেষ হাসি হাসবে, তা দেখার অপেক্ষা।