দুর্দান্ত খেলে গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) ফাইনালে উঠেছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে গিয়ে আর পারল না দলটি। রংপুরের স্বপ্ন চুর্ণ করে জিএসএলের শিরোপা জিতল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। ফাইনালে গায়ানার কাছে ৩২ রানে হেরে রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হওয়া ফাইনালে রংপুরকে হারিয়ে জিএসএলের দ্বিতীয় আসরে প্রথম শিরোপা জিতল গায়ানা। স্বাগতিক দলটির ১৯৬ রানের জবাবে ১ বল বাকি থাকতে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় রংপুরের ইনিংস। জিএসএলে কোনো দলের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। দুই আসর মিলিয়ে আগের ২১ ম্যাচে কোনো দল ১৮০ রানও করতে পারেনি। গত আসরে দুই ম্যাচ হারের পর নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিন জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। এবার ঠিক উল্টো অভিজ্ঞতা। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সবার আগে ফাইনালে ওঠে তারা। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় তাদের চতুর্থ ম্যাচ। শেষটিতে ভাঙল শিরোপা স্বপ্ন। বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে রংপুর। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩২ রান করতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন ইব্রাহিম জাদরান (৪ বলে ৫), সৌম্য সরকার (১৪ বলে ১৩) ও কাইল মেয়ার্স (১০ বল ৫)। জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা সৌম্যর পাঁচ ম্যাচে মোট সংগ্রহ ১০৪.৭০, স্ট্রাইক রেটে ৮৯ রান। নেই কোনো ফিফটি, সর্বোচ্চ ৩৬ রান। পাল্টা আক্রমণে শুরুর চাপ সরান ইফতিখার ও সাইফ। তাহিরের পরপর দুই ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন সাইফ। শেফার্ডের ওভারে সাইফের ১ ছক্কার পর ইফতিখার মারেন ২টি।
ওভার থেকে আসে ১৯ রান। ১৩তম ওভারে তাহিরের বলে ইফতিখারও মারেন ছক্কা। পরের বলেই সেই রানআউট। ভেঙে যায় ৪৪ বলে ৭৩ রানের জুটি। ৩টি করে চার-ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রান করে ফেরেন সাইফ। রানআউট দিয়ে শুরু হওয়া ধসে মাত্র ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। ২৯ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন ইফতিখার। হতাশ করেন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই (৫ বলে ৩) ও নুরুল হাসান সোহান (৫ বলে ৫)। শেষ ২ উইকেটে ২০ বলে প্রয়োজন পড়ে ৭১ রান। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমান মাহিদুল ইসলাম।
গায়ানার পক্ষে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। তাহির ও গুডাকেশ মোটির শিকার ২টি করে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে গায়ানাকে রেকর্ড সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর জনসন চার্লস ও গুরবাজ। তবে শুরুতে এভিন লুইসকে ফিরিয়ে রংপুর শিবিরে হাসির উপলক্ষ আনেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ পেসারের এটি ১১তম উইকেট। এরপর চার্লস ও গুরবাজ মিলে গড়েন ৭০ বলে ১২১ রানের জুটি। ১৫ ওভার শেষে স্বেচ্ছায় রিটায়ার্ড আউট হয়ে যান ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৭ রান করা চার্লস। গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৬ রান। শেষ দিকে শেফার্ডের ৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিওতে রংপুরের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় গায়ানা।
আপনার মতামত লিখুন :