ফুটবলে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রথমবারের মতো একুশে পদক পেয়েছে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এবার মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার রোকেয়া পদক পেলেন সেই দলের তারকা ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। এমন স্বীকৃতি পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত রাঙামাটি থেকে উঠে আসা ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কার বা সম্মাননা আমার জন্য অনেক বড় বিষয়। এটি আমাকে অনেক উৎসাহ দেয়। এই প্রথম কোনো ফুটবলার রোকেয়া পদক পেল, তাই এটা আমার কাছে বিরাট সাফল্য মনে হচ্ছে। আমি খুব খুব খুশি।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে পুরস্কারটি দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত। প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর সরকারিভাবে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয় এবং এই দিনে পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ দলের সাফল্যে ঋতুপর্ণা দারুণ পারফর্ম করেছেন। তাকে ‘নারী জাগরণ (ক্রীড়া)’ বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঋতুপর্ণাসহ চারজনকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। এটি একটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। তাই এটি আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ এমন পুরস্কার সব নারীর জন্য বড় অনুপ্রেরণা বলে জানালেন ঋতুপর্ণা, ‘এই পুরস্কার শুধু আমার একার নয়, এটি বাংলাদেশের সব নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। এটি আগামী প্রজন্মের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে।’ সব বাধা পেরিয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা। তিনি বলেন, ‘জীবনে সবাই বাধার মুখে পড়ে, ছেলে-মেয়ে উভয়েই। আমাদের সবার সেই বাধাগুলো পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমি ইউনিসেফের হয়ে কাজ করছি। ভবিষ্যতে আরও সুযোগ পেলে আমি তা গ্রহণ করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন