হাইকোর্টের সামনে থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত আশরাফুল হকের পরিবার শাহবাগ থানায় বন্ধু জরেজকে আসামি করে মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও যুক্ত করা হয়েছে।
পরে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহটি নিতে আসেন। ময়নাতদন্ত শেষ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারের হাতে দেহ হস্তান্তর করবে।
পরিবার বলেছে, আশরাফুলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না-তিন দিন আগে বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় আসেন তিনি, এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। শেষবার কল করার পর তারা জানতে পারেন তার ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দাবি করেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক এবং প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।
এর আগে, হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশে দুটি নীল ড্রামের মধ্যে থেকে ২৬ খণ্ডে বিভক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে সিআইডি নিহতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণ করে তার পরিচয় শনাক্ত করে।
নিহত আশরাফুল হক (৪২) রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সদরের ওসি জানিয়েছেন, আশরাফুল ঢাকায় গিয়ে নিখোঁজ হন, এরপর তার মৃত্যু সংবাদ আসে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি দায়ের করা হয়।



