ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে র্যালি শেষে আলোচনা সভা, কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
পরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি।
ইউনিটির যুগ্মসম্পাদক নুর উল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফাতিমা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মু. সাইফুল ইসলাম ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, জেলা তথ্য কর্মকর্তা এস এম আলামিন, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের ও একেএম আব্দুর রহিম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ আলম বাদল, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আব্দুর রহিম, এনসিপির জেলা আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম সৈকত, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, পৌর সদস্য সচিব এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি যতন মজুমদার ও আরিফুল আমিন রিজভী, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জসিম মাহমুদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনী সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পরশুরামের এম এ হাসান, সোনাগাজীর সাইফুল আলম হিরন, ফুলগাজীর মুহাম্মদ মোরশেদ ও দাগনভূঞার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন ভিপি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক মানুষের জীবনের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে। এ সরকার ওয়াদা করেছেন ফেব্রুয়ারীর মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। সামনে নির্বাচনে যে যাকে পছন্দ করে, যাকে আদর্শবান মনে করে,যাকে ইচ্ছে হবে তাকে ভোট দিবে। জোরজবরদস্তি করে ভোটের দিন শেষ। সেটা আর আসতে দেওয়া হবে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বর্তমান সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সঠিক সাংবাদিকতা একটা দেশকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আমি আশা করি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা সে নীতিকে অবলম্বন করে এ দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা সুলতানা বলেন, সংবাদপত্রকে আমাদের পজিটিভ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। সে লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য উপাত্ত নিজেদের পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করা ৷ এতে ইউলো সাংবাদিকতা পরিহার করে আমাদের দেশকে একটি বিশ্বের কাছে প্রতিনিধিত্ব দেশ হিসেবে তুলে ধরতে হবে।
শেষে কেক কেটে ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন