ঢাকা মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ওসির বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
গ্রেপ্তাকৃত আসামিরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, মাদককারবারি এবং ছিনতাইচক্রের সদস্যসহ মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই হওয়া দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত চলে এ অভিযান।

নবাগত ওসি মহিব্বুল্লাহ ২৬ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। তার যোগদানের পর ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার ও নজরদারি কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।

থানা সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রাতভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের মধ্যে রয়েছেন: পরিমল সরকারের ছেলে পার্থ মণ্ডল, ফজলু ভূইয়ার ছেলে খাবির ভূইয়া এবং মৃত বাছির উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে ফজলু ভূইয়া। এ ছাড়া আরও দুই জনকে পৃথক পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ধরে করা মামলাগুলোর কারণে তাদের দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখা হয়েছিল।

একই রাতে বড় কয়ের এলাকার হায়দার আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ছিনতাই হওয়া দুটি সিএনজি উদ্ধারের ঘটনাতেও অগ্রগতি এসেছে। মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভবানীপুর এলাকায় পৌঁছালে সিএনজিচালক আবু সুফিয়ান যাত্রী জেসমিন চৌধুরীর ওপর হামলা চালান। পরে মোটরসাইকেলে থাকা তার সহযোগীরা এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেসমিনকে আহত করেন। এরপর সিএনজি, নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে পালিয়ে যায় তারা।

ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুজনকে গ্রেপ্তার এবং দুটি সিএনজি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

জয়দেবপুর থানার ওসি মহিব্বুল্লাহ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জয়দেবপুর থানা এলাকায় অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। বিশেষ করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের কেউ যেন পলাতক থাকতে না পারে, মাদককারবারিরা যেন আর মাথা তুলতে না পারে, এ লক্ষ্যে আমরা প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ছিনতাই হওয়া দুটি সিএনজি উদ্ধার ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার আমাদের সাফল্যের অংশ। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এসব অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে।